খুলনায় সড়ক অবরোধ করে যানবাহনে ভাঙচুর
ট্রাকচালকের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে খুলনা-যশোর সড়ক অবরোধ করে বেশবিছু যানবাহন ভাঙচুর করেছে থ্রি হুইলার চালকরা। শ্রমিক নেতাদের দাবি, এ সময় ২৫টি থ্রি হুইলার ও ১৪টি ট্রাক ভাঙচুর করা হয়। এতে আহত হয় অন্তত ১০ জন।
আজ বুধবার সকাল ১১টা থেকে খুলনার দৌলতপুর থেকে ফুলবাড়ী গেট পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে থ্রি হুইলার ফেলে রেখে সকড় অবরোধ করে চালকরা।
পুলিশ জানায়, এর ফলে খুলনা-যশোর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অবরোধের ফলে নগরীতে থ্রি হুইলার চলাচল না করায় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। বিষয়টি মীমাংসার জন্য দৌলতপুর থানায় ট্রাক ও থ্রি হুইলারের মালিক-চালকরা বৈঠকে বসেছেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাতে মহেন্দ্রচালকের সঙ্গে এক ট্রাকচালকের ভাড়া নিয়ে বিরোধ ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এর জের ধরেই আজ থ্রি হুইলার চালকরা সড়ক অবরোধ করে এবং কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে। সব পক্ষকে নিয়ে থানায় বৈঠক শুরু হয়েছে।
খুলনা জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক ও ৮০টি থ্রি হুইলারের মালিক শেখ তৌহিদুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে একজন ট্রাকচালক মাতাল অবস্থায় থ্রি হুইলারে উঠে ৫০ টাকার নোট দিয়ে বলে সে ১০০ টাকা দিয়েছে। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ট্রাকচালক থ্রি হুইলার চালককে চড় মারেন।
শেখ তৌহিদুল ইসলাম আরো জানান, পরে থ্রি হুইলার চালকরা মিলে ট্রাকচালককে দৌলতপুর ইউনিয়ন কার্যালয়ে এনে আটকে রেখে মারধর করেন। এ ঘটনার জের ধরে আজ সকালে তাঁর নিজের ১০টিসহ মোট ২৫টি থ্রি হুইলার ও ১৪টি ট্রাক ভাঙচুর করা হয়। এ সময় দুই ট্রাকচালকসহ ১০ জন আহত হয়।
খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বক্স দুদু জানান, গতকাল রাতের ঘটনা সকালে মীমাংশা হওয়ার কথা। কিন্তু থ্রি হুইলার চালকরা তা না করে সকালে ১৪টি ট্রাক ভাঙচুর করে এবং যশোর-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে।
তুচ্ছ ঘটনায় থ্রি হুইলার চালকদের বাড়াবাড়িকে দায়ী করেন আব্দুর রহিম বক্স দুদু। তিনি জানান, দৌলতপুর থানায় তাঁরা বৈঠক শুরু করেছেন। ক্ষতিপূরণসহ বিষয়টির সম্মানজনক সমাধান না হলে ট্রাক ধর্মঘট ডাকা হতে পারে।