স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা, লাখ টাকায় ‘রফা’

Looks like you've blocked notifications!

সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে স্থানীয় এক বখাটে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওই বখাটেকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার শরীয়তপুর সদর উপজেলার শোলপাড়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে।

স্কুলছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয় গ্রামবাসী জানায়, ওই স্কুলছাত্রীর বাবা প্রবাসী। মায়ের সঙ্গে সে গ্রামে থাকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী খলিল বেপারীর ছেলে লোকমান বেপারী (২৭) ওই ছাত্রীকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁর চিৎকারে মানুষ এগিয়ে এলে লোকমান পালিয়ে যান। 

ঘটনাটি শোলপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে জানানো হয়। জাহাঙ্গীর আলম বুধবার দুই পরিবারের সদস্য ও গ্রামের মাতবর ইসমাইল চৌকিদার, আতাহার সরদার, বিপ্লব সরদার, দাদন খলিফা, কাশেম চৌকিদার ও নজরুল ঢালীকে নিয়ে সালিসে ঘটনাটি মীমাংসা করে দেন। এ সময় লোকমানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। 

স্কুলছাত্রীর মা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এলাকার মুরুব্বির ও চেয়ারম্যানের চাপে মীমাংসা মেনে নিয়েছি। লোকমান এর আগেও গ্রামে মেয়েদের শ্লীলতাহানি ঘটিয়েছে। কোনো বিচার না হওয়ায় আবার সে এমন অপরাধ করল।’

ওই স্কুলছাত্রী এনটিভি অনলাইনকে জানান, লোকমান তাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ঘটনাটি গ্রামে জানাজানি হয়ে যাওয়ায় এখন সে লজ্জায় বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না।

লোকমানের মা হাজেরা বেগম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমার ছেলে কোনো মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেনি। এটা আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। চেয়ারম্যান ও গ্রামের মাদবরদের চাপে জরিমানার টাকা দিতে রাজি হয়েছি।’

শোলপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পেয়ে আমি ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তাই বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছি, যাতে পরবর্তী সময়ে কোনো ঝামেলা না হয়।’ 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান জানান, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ তিনি পাননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন।