পটুয়াখালীতে অভিযানের সময় ইউএনওর ওপর হামলা

Looks like you've blocked notifications!

পটুয়াখালীর বাউফলের তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযান চালানোর সময় বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এক অভিযানে প্রচুর পরিমাণ কারেন্ট জাল আটক করেন ইউএনও মো. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোজাম্মেল হকসহ অন্যরা। অভিযানের শেষ পর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটে। ট্রলারের ছইয়ের নিচে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন ইউএনওসহ অন্য কর্মকর্তারা। পরে ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় এক পর্যায়ে মাঝ নদীতে চলে যায় ট্রলার। রাত ১২টার পর বাউফল থানা পুলিশ ইউএনওবাহী ট্রলারটি নিরাপদে তীরে নিয়ে আসে।

বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাউফলের ধুলিয়া লঞ্চঘাটের খাল মুখে অবস্থান করা ২৫টি মাছধরা নৌকায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর কারেন্ট জাল আটক করে। এসব জাল ব্যবহার করে ইলিশ মাছ ধরা হয়, যা বর্তমানে নিষিদ্ধ। অভিযানের একপর্যায়ে ৪০-৫০ জন জেলে গোপনে সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালায়। ওই হামলায় ট্রলার চালক আবদুর রহিমসহ তিনজন আহত হন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকতা মোজাম্মেল হক, পুলিশসহ ১০ জন ব্যক্তি।

ইউএনও মাহমুদ জামান আরো জানান, হামলা থেকে রক্ষা পেতে ট্রলারের ছইয়ের নিচে চলে যেতে হয়। পরে ট্রলার নিয়ে তেঁতুলিয়া নদীর মাঝে গিয়ে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করার সময় ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। একপর্যায়ে প্রবল স্রোতের তোড়ে বিকল ট্রলার মমিনপুর সংলগ্ন এলাকায় চলে যায়।  

বাউফল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুজ্জামান জানান, অতিরিক্ত পুলিশসহ একটি উদ্ধারকারী নৌকা পাঠানো হয়েছে ইউএনওসহ অন্যদের উদ্ধার করার জন্য।

রাত ১২টার পর ওসি মাসুদুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ইউএনওসহ অন্য কর্মকর্তারা নিরাপদে বাড়ি ফিরেছেন। ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় ট্রলারটি ভাসতে ভাসতে অনেক দূর চলে যায়। পরে পুলিশ অন্য ট্রলার নিয়ে গিয়ে কর্মকর্তাদের নিয়ে আসে।’