অভিজ্ঞ মাঝির সঙ্গে সর্বকনিষ্ঠের লড়াই
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-১ (সদর) আসনে লড়াইয়ে নেমেছেন আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী ও জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক। তাঁর বিপরীতে রয়েছেন বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী ঐক্যফ্রন্টের ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা।
তবে প্রচারে সব দিক থেকেই এগিয়ে রয়েছেন নৌকার মাঝি আতিক। বিভিন্ন এলাকায় প্রচারে যাচ্ছে তাঁর গাড়িবহর। চলছে বর্ণাঢ্য প্রচার। অন্যদিকে কারাবন্দি বাবার ছবি নিয়ে গ্রামগঞ্জের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা। তিন মাসের বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন প্রিয়াংকার বাবা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী।
নৌকার আতিউর রহমান তাঁর নেতাকর্মীদের সঙ্গে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে জেলা সদরের বিভিন্ন জায়গায় প্রচার চালাচ্ছেন। প্রতিদিন যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন পথসভায়। ধানের শীষের প্রিয়াংকাও যাচ্ছেন বিভিন্ন জায়গায়। যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই করছেন নির্বাচনী সমাবেশ ও পথসভা। পূর্বনির্ধারিত সমাবেশেও যোগ দিচ্ছেন তিনি। নারীদের সঙ্গে উঠান বৈঠকেও মিলিত হচ্ছেন সর্বকনিষ্ঠ বিএনপির এই প্রার্থী।
আতিউর রহমান এই আসনটিতে বারবার নির্বাচিত হয়ে আসছেন। ২০০৮-এর নির্বাচনে সদরের এ আসনটিতে ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে নির্বাচন করেছিলেন যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত জামায়াত নেতা কামারুজ্জামান। সেবার পরাজিত হন জামায়াতের এই নেতা।
গ্রামগঞ্জের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন শেরপুর-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা। ছবি : এনটিভি
কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর এ আসনে নির্বাচন করার কথা ছিল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর। কিন্তু তফসিল ঘোষণার আগেই তিনি গ্রেপ্তার হন। পরে মনোনয়নের মারপ্যাঁচে তাঁর প্রার্থিতা আটকে যায়। যার ফলে সামনে চলে আসেন হযরত আলীর মেয়ে ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা। তিনি এযাবৎকালের সব জাতীয় নির্বাচনের সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী। তাঁকেই লড়তে হচ্ছে আতিউর রহমানের মতো একজন হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
তবে সর্বকনিষ্ঠ হলেও দীর্ঘ ২২ বছর পর শেরপুর সদর আসন ধানের শীষের কোনো প্রার্থী পেল। আর এ জন্যই সেটি আলাদা গুরুত্ব পেয়েছে ভোটারদের কাছে। প্রার্থীর চেয়ে প্রতীকই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে বিএনপি কর্মী-সমর্থকদের কাছে। অন্যদিকে নৌকার পক্ষে আওয়ামী লীগের নেতারাও ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছেন। এখন অপেক্ষা শুধু নির্বাচনের।