লক্ষ্মীপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষ, বিএনপি প্রার্থী এ্যানিসহ আহত ৩৩
লক্ষ্মীপুর সদরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে দুজন পুলিশ সদস্যসহ ৩৩ জন আহত হয়েছেন। বিএনপির অভিযোগ, লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থী শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির ওপর হামলা করে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা। তারপরই ওই সংঘর্ষ ঘটে।
আজ সোমবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের শান্তিরহাট বাজারে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই এলাকায় নির্বাচনী প্রচারের কাজ করছিলেন বিএনপির প্রার্থী শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
এ সময় দুজন পুলিশ সদস্য, বিএনপির ২৫ জন ও আওয়ামী লীগের ছয়জন আহত হয়েছেন। এদিকে হাসপাতালে আহত বিএনপির নেতাকর্মীরা চিকিৎসা নিতে গেলে তাঁদের হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে যুবলীগের বিরুদ্ধে।
ওই ঘটনায় বিএনপির প্রার্থী শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিও আহত হন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, যুবদল নেতা বদরুল আলম শ্যামল, মামুন, সৈকত, বরকত উল্লাহ, জাহিদ, আবদুল খালেকসহ অন্তত ২৫ জন। তাঁদের সদর হাসপাতালসহ শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের আহত নেতাকর্মীরা হলেন জুয়েল, রাছেল, আরিফ, ইউছুফ, সিরাজসহ ছয়জন। তাঁদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘সকালে নির্বাচনী গণসংযোগকালে পুলিশের উপস্থিতিতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। হামলায় অন্তত ২৫ জন আহত হন। আমরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।’
কুশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন বলেন, ‘এ্যানি তাঁর দলবল নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের আহত করেন।’
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশ পরিদর্শক মফিজ ও উপপরিদর্শক রাজ্জাক আহত হন।’
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ্যানিসহ বেশ কয়েকজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে আসেন; তাঁদের চিকিৎসা চলছে। এ্যানিকে এক্স-রেসহ কয়েকটি পরীক্ষা দেওয়া হয়েছে।’