মানুষ জাগলে সেনাবাহিনী, পুলিশ কেউ আটকাতে পারবে না : ডা. প্রিয়াংকা
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সরকারদলীয় দমন পীড়নের বিরুদ্ধে মানুষ একবার উজ্জীবিত হলে সেনাবাহিনী, পুলিশ কেউ তা আটকে রাখতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন শেরপুর-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা।
আজ সোমবার সকালে শেরপুর সদরের মাধপুরে নিজ বাসায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রিয়াংকা।
বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক গায়েবি মামলা দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন প্রিয়াংকা। শুধু তাই নয়, সরকারি দলের লোকজন বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ ভীতিসঞ্চার প্রক্রিয়ায় পুলিশও যুক্ত বলে দাবি তাঁর।
প্রিয়াংকা জানান, সরকারি দলের সমর্থকরা নিজেরাই নিজেদের পোস্টার ছিঁড়ে, নিজেদের প্রতীকে আগুন দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিচ্ছে। বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যদের নামেও মামলা দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হয়।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী সেনা মোতায়েনকে স্বাগত জানিয়ে এবারের নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ এ প্রার্থী বলেন, ‘আমরা আশা করছি সেনাবাহিনী নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবে। সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে, সেই আস্থার জায়গাটি যেন নষ্ট না হয়।
আমি মনে করি সেনাবাহিনী নিরপেক্ষতার সাথে কাজ করবে। আমি বলছি না সেনাবাহিনী আমার পক্ষে কাজ করবে বা সরকারি দলের পক্ষ হয়ে কাজ করবে। আমি মনে করি ওনারা নিরপেক্ষতার সাথে কাজ করবেন এবং ওনারাই খতিয়ে দেখবেন দেশের মানুষ কী চায়’, বলেন প্রিয়াংকা।
প্রিয়াংকা আরো বলেন, ‘আমার বাবাকে মামলায় জর্জরিত করা হয়েছে। আমার বাবাকে মিথ্যা মামলায় রাখা হয়েছে। তিনি কিন্তু আজ নির্বাচনে আসতে পারেননি। তাঁর পরিবারের সদস্য হিসেবে আজকে আমি যেমন সামনে এগিয়ে এসেছি, আমার এ রকম শত শত নেতাকর্মী আছে যারা অসহায় এবং মামলায় আক্রান্ত। তাদেরও পরিবার কিন্তু আজকে উজ্জীবিত হয়েছে। তাদের সন্তান থেকে আরম্ভ করে প্রত্যকেটা আত্মীয়স্বজন আজ উজ্জীবিত হয়েছে।
সুতরাং সব ভোটার আজ উজ্জীবিত হয়েছে। সারা বাংলার মানুষ আজ জেগে উঠেছে। কাজেই আমি মনে করি এই সাধারণ মানুষ যদি একবার উজ্জীবিত হয় তাহলে সেনাবাহিনী কি, পুলিশ কি, পুলিশ প্রশাসন কি কেউ কিন্তু কাউকে আটকে রাখতে পারবে না। কাজেই আমি মনে করি সারা বাংলাদেশের মানুষ যখন জাগ্রত হবে তখন পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী সবাই আমাদের সাপোর্টে থাকবে’, বলেন সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা।
বিএনপির স্থানীয় নেতারা এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।