আমার পরিবার, নেতাকর্মীদের মারবেন না, হাতজোড় করে বলছি : প্রিয়াংকা
পরিবারের সদস্য ও নিজ দলের নেতাকর্মীদের মারধর না করার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের প্রতি হাতজোড় করে অনুরোধ করেছেন শেরপুর-১ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি হাতজোড় করে আপনাদের প্রতি অনুরোধ জানাই- আমার পরিবারের সদস্য ও আমার দলীয় এজেন্টদের ওপর অত্যাচার করবেন না।’
আজ মঙ্গলবার সকালে শেরপুর সদর উপজেলা মাধবপুরে নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ অনুরোধ জানান প্রিয়াংকা।
গতকাল সোমবার তাঁর ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে উল্লেখ করে প্রিয়াংকা বলেন, সোমবার আমার গাড়িতে হামলা হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন। আমার আত্মীয়সহ প্রধান নির্বাচনী এজেন্টকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি তো কারো কোনো ক্ষতি করি নাই। আমি সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী, আমি তো সবাইকে সম্মান করেছি। কিন্তু আমার ও আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা কেন?’
‘আমি একজন সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী, আমি একজন ক্লিয়ার ইমেজের মানুষ। আমার ওপর হামলা করে, মামলা করে কী লাভ? আমি তো কারো পিছনেও নেই, কারো আগেও নেই। নির্বাচন করতে এসেছি। সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, জিতলে জিতব, হারলে হারব। যে জিতবে তাঁকে সম্মানের সাথে ওয়েলকাম করব’, বলেন ধানের শীষ প্রতীকের এই প্রার্থী।
সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নেই। হামলা-মামলার ব্যাপারে প্রশাসনের সুবিচার না পাওয়ার অভিযোগ করে ডা. প্রিয়াংকা বলেন, ‘আমার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিচারক মহান আল্লাহ তায়ালা। তাঁর কাছেই বিচার দিলাম। তিনি এই ব্যাপারে বিচারটা দেখবেন। আমি মনে করি এই শেরপুর সদরে এমপি মহোদয় আছেন, আমি তাঁদের প্রোটেকশনে আছি। আমি পুলিশের এবং প্রশাসন সবার সন্তান আমি। কিন্তু এই মানুষগুলা আমাকে সন্তানস্বরূপ না দেখে, আমাকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখে আমার ওপর অত্যাচার করছে। আমার যে এতগুলা মানুষ আহত হলো এর বিচারটা কার কাছে দেব?’
তবে এত কিছুর পরও যেকোনো পরিস্থিতিতেই শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে আছেন এ প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রিয়াংকা বলেন, ‘আমার পাশে যদি একটা মানুষও না থাকে তবু আমি ৩০ তারিখ পর্যন্ত নির্বাচন করব। আমাকে আল্লাহ ছাড়া, যদি আল্লাহ আমাকে না নিয়ে যায়, তার আগ পর্যন্ত আমি মাঠে থাকব। শেরপুরের একটা লোকও না থাকলে, আমি নিজেই সব কাজ করব। আমি নিজেই আমার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট, আমি নিজেই সবকিছু।’
কথা বলতে বলতে একপর্যায়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিরোধীদের উদ্দেশে প্রিয়াংকা বলেন, ‘আমি খালি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই, আমি আপনার ক্ষমতাটাকে নষ্ট করতে চাচ্ছি না তো। যদি ভোটে আমি নির্বাচিত হতে পারি, হবো। না হলে আপনারা হবেন, আমি ওয়েলকাম জানাচ্ছি। কিন্তু আমার পরিবার, আমার নেতাকর্মীদের ওপর, আমার স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যদের ওপর অত্যাচার চালাবেন না। আমার প্রধান নির্বাচনী এজেন্টকে ছেড়ে দেন। আমি হাতজোড় করে বলছি।’