সময়মতো চিকিৎসা না মেলায় প্রসূতির মৃত্যু!

Looks like you've blocked notifications!

শরীয়তপুর জেলা শহরে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে এক প্রসূতিকে আটকে রেখে চিকিৎসা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মেট্রো ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আজ রোববার রাত ৮টার দিকে লাবণ্য আক্তার (২৪) নামের ওই প্রসূতি মারা যান।

লাবণ্য নড়িয়া উপজেলার মশুরা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর স্বামী জলিল মাদবর ইতালিপ্রবাসী। তাঁর স্বজনরা জানিয়েছেন, লাবণ্যর মরদেহ অস্ত্রোপচার কক্ষে রেখেই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়। নিহত লাবণ্যর স্বজনরা ক্লিনিকের সামনে বিক্ষোভ করেছেন। আতঙ্কে অন্য রোগীরা ক্লিনিক ত্যাগ করেছেন।

লাবণ্যর স্বজনরা জানিয়েছেন, প্রসব বেদনা ওঠায় গত বৃহস্পতিবার তাঁকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালসংলগ্ন মেট্রো ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। ওই ক্লিনিকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা শাহিনুর নাজিয়া প্রসূতিদের অস্ত্রোপচার করেন। তিনি এলাকায় না থাকায় গত দুদিনে লাবণ্যর অস্ত্রোপচার হয়নি। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষও প্রসূতিকে অন্য কোথাও যেতে দেয়নি।

লাবণ্যর স্বজনরা আরো জানান, আজ রোববার সন্ধ্যায় চিকিৎসক শাহিনুর নাজিয়া ওই ক্লিনিকে অন্য এক প্রসূতির অস্ত্রোপচার করেন। এর কিছুক্ষণ পরে লাবণ্য আক্তারকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরে স্বজনরা জানতে পারেন তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তখনই ওই ক্লিনিকের চিকিৎসক, নার্স ও কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়।

রাত ৯টার দিকে ওই ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায়, লাবণ্য আক্তারের মরদেহ অপারেশন টেবিলের ওপর পড়ে রয়েছে। তাঁর গলার দুই প্রান্ত দিয়ে রক্ত ঝরছে। পাশে স্বজনরা আহাজারি করছেন।

লাবণ্য আক্তারের মা লায়লা বেগম বলেন, ‘ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বলেছিল দেরিতে অস্ত্রোপচার করা হলে কোনো সমস্যা হবে না। আমরা ওকে অন্য এলাকায় নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তারা নিতে দেয়নি। অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়ার পর জানতে পারি আমার মেয়ে মারা গেছে।’

শরীয়তপুরের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন নির্মল চন্দ্র দাস বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি, আগামীকাল তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’