ভোটাররা এবার দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন : তোফায়েল

Looks like you've blocked notifications!
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। পুরোনো ছবি : এনটিভি

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটাররা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন। মানুষ উন্নয়নের পক্ষে ও শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখে ভোট দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তোফায়েল আহমেদ।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা এমন একজন নেত্রী যিনি স্বপ্ন দেখান এবং সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। ২০০৮ সালে তিনি দেশকে ডিজিটাল ও মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি ইতিমধ্যে দেশকে ডিজিটাল ও মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছেন। দেশে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। আগামী পাঁচ বছরে তিনি বাংলাদেশকে অন্যরকম উচ্চতায় নিয়ে যাবেন। ইতিমধ্যে গ্রামের মানুষ শহরের সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনে পরাজয়ের বিষয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এ সদস্য বলেন, ড. কামাল হেসেনের নেতৃত্বে ঐক্যজোটকে দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি স্বাধীনতাবিরোধী দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, দেশের মানুষ তা গ্রহণ করেননি, ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন। দেশের নতুন প্রজন্মসহ সব ভোটার নিজেদের মনের ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। তাদের প্রার্থীদের সাথে ভোটারদের সম্পর্ক ছিল না, মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তার চেয়ে অর্থের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। এ সব কারণেই তাদের এ ভরাডুবি। আগামী পাঁচ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য হবে ঐতিহাসিক। এ সময়ে জাতি উদযাপন করবে জাতির জনকের জন্মশত বার্ষিকী এবং ২০২১ সালে দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তি।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের মানুষ ৩০ ডিসেম্বরের জন্য অপেক্ষা করছিল। এদিন দেশের মানুষ মনের আশা ব্যালটের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যারা দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, মুক্তিযোদ্ধা-বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল, মা-বোনদের উজ্জত হরণ করেছিল, জিয়াউর রহমান তাদের এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসন করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলা করে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী এ সময় জীবন দিয়েছিল। দেশের মানুষ ব্যালটের মাধ্যমে তার জবাব দিয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে ছিল, এখনো আছে। শেখ হাসিনার সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের  ভাতা, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বিনামূল্যে বই বিতরণ ও শিক্ষা ভাতার ব্যবস্থা করেছে। দেশে যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। দেশে ব্যাপক উন্নতি হচ্ছে, বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। আগামী পাঁচ বছরে দেশে ব্যাপক উন্নতি হবে। শেখ হাসিনার প্রতি দেশের মানুষের আস্থা আছে। সে কারণেই  দেশের মানুষ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে।