বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নবনির্বাচিতদের শপথ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবনির্বাচিতদের শপথ গ্রহণের জন্য তাঁদের নাম গেজেট আকারে প্রকাশ করে তা সংসদ সচিবালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
আজ বুধবার ইসি সচিব বলেন, ‘নির্বাচনের পরে যে বিষয়টি থাকে, সেটি হচ্ছে গেজেট নোটিফিকেশন। ২৯৮টি আসনের গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। এগুলো জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে পাঠিয়েছি, যাতে যাঁদের নামে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে, তাঁরা শপথ গ্রহণ করতে পারেন। আমরা শুনেছি, আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।’
দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য জানান ইসি সচিব। এ সময় স্পিকারের কাছে কোনো চিঠি গেছে কি না জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘স্পিকার নয়, আমরা এটি সংসদ সচিবালয়ের সচিব বরাবর পাঠিয়ে থাকি।’
গেজেট প্রকাশের ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘মাননীয় কমিশন গতকালকে অনুমোদন দেওয়ার পর বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে। সেখানে রাতে প্রিন্ট হয়েছে এবং আজকে সকালে সংসদ সচিবালয়ে পাঠানো হয়েছে।’
ইসি সচিব আরো বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে যেটা হয়, যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন তাঁদের নাম, পিতার নাম, মাতার নাম এবং ঠিকানা একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। সেই প্রতিবেদনটা আমরা গতকাল সব রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে পেয়েছি এবং পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গেজেট নোটিফিকেশন করেছি। গেজেটে সব কমিশনার স্বাক্ষর করেছেন এবং সবাই অনুমোদন দিয়েছেন।’
গত রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণপর্ব শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী জোট ও দলগুলোকে বহু পেছনে ফেলে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে বিজয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। যদিও এই নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে বিরোধীদের।
ফল অনুসারে দেশব্যাপী ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৮৭টিতেই মহাজোট জয়ী হয়। বিরোধী পক্ষ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পায় ছয়টি আসন। এ ছাড়া সিলেট-২ আসনে দলীয় প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়ে জয়ী হন গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুকাব্বির খান। মহাজোটের বাইরে বরিশাল-৩ আসনে জয়ী হন জাতীয় পার্টির উন্মুক্ত প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া টিপু। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন আরো তিনজন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে তিনটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত আছে। সেখানে এগিয়ে আছেন ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার। এ ছাড়া গাইবান্ধা-৩ আসনে এক প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে সেখানে আগামী ২৭ জানুয়ারি ভোটের দিন ঠিক করা হয়েছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে এখনো শপথ নেওয়া বা সংসদে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
‘অধিবেশন শুরুর ৯০ দিনের মধ্যে শপথ নেওয়ার সুযোগ আছে’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে শপথ নিতে হবে। শপথ গ্রহণের ৩০ দিনের মধ্যে সংসদ অধিবেশন বসবে। অধিবেশন শুরু ৯০ দিনের মধ্যে শপথ নেওয়া সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে কেউ যদি শপথ নিতে ব্যর্থ হন, তাহলে তাঁকে অযোগ্য বলে গণ্য করবেন স্পিকার।’
সংবিধানে ৬৭ ধারা ১-এর ক উল্লেখ করা আছে, কেউ যদি স্পিকারের কাছে শপথ না নেন, তবে সিইসির কাছে নিতে হবে বলেও সংবিধানে বলা আছে বলে যোগ করেন হেলালুদ্দীন আহমদ।