রিভিউ আবেদন করবেন সাকা চৌধুরীও
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী আপিল বিভাগের দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে তাঁর সঙ্গে দেখা করে এ কথা জানান আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম।urgentPhoto
আজ বেলা সাড়ে ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত কাশিমপুর কারাগারে সাকা চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেন হুজ্জাতুল ইসলাম। সেখান থেকে বের হয়ে তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই রিভিউ পিটিশন জমা দেওয়া হবে।’
হুজ্জাতুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রায়ের রিভিউ বিষয়ে কথা বলার জন্য বেলা পৌনে ৩টায় কারাগারে প্রবেশ করি। ওনার (সাকা) সঙ্গে দেখা হয় বেলা সাড়ে তিনটায়। আমি আধা ঘণ্টা কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। বিকেল ৪টা পর্যন্ত কথা শেষে আমি বের হয়ে আসি। আলাপকালে তিনি রিভিউ করতে বলেছেন। এ ছাড়া তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে ভালো আছেন।’
সাকা চৌধুরীর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের দেওয়া রায় রিভিউয়ের আবেদন করার বিষয়ে কথা বলতে দুপুরে কাশিমপুর কারাগারে যান হুজ্জাতুল ইসলাম। সাকা চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়। একই দিন বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন।
এরপর দিন অর্থাৎ ১ অক্টোবর রাতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় কার্যকর করতে কারাগারে পাঠানো মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে।
এরই মধ্যে রিভিউ আবেদন করার সিদ্ধান্তের কথা আইনজীবীদের জানিয়েছেন মুজাহিদ।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগেও মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রাখা হয়।