রাঙামাটিতে আগুনে পুড়ল ৮৮ বসতঘর
রাঙামাটি শহরের বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে খ্যাত রিজার্ভবাজারে আগুনে পুড়ে গেছে অন্তত ৮৮ টি বসতঘর। আজ রোববার সকাল পৌনে নয়টায় ওই এলাকার মসজিদ কলোনীর টিলাপাড়ায় এই অগ্নিকাণ্ডে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাটিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
দুই ঘণ্টার মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে যায় পুরো এলাকা। অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের নিশ্চিত কারণ জানা যায়নি।
তবে স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সকাল পৌনে নয়টার দিকেই স্থানীয় বাবুল কেরানির ঘর থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ায় প্রায় ৮৮টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবিমতে, অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ‘সকালে ঘর থেকে বের হয়ে যাই। আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি আমার ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
বসতঘর পুড়ে যাওয়া মনোয়ারা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, ‘ভাই, পরণের শাড়ি ছাড়া আর কিছুই বাঁচাতে পারি নাই।’
এলাকার কাউন্সিলর করিম আকবর জানিয়েছেন, সকালে আগুনের ঘটনায় শতাধিক ঘর পুড়েছে। এখন তালিকা করা হচ্ছে। পরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও ক্ষয়ক্ষতির তথ্য দেওয়া যাবে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবর জানার পর স্থানীয়রা, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবির সহয়তায় রাঙামাটি, কাপ্তাই ও কাউখালী ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। এতে দুই ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায়।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম বলেন, ‘আমরা আগুনের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করি। ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিটের আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। আগুনে অন্তত ৮৮টি বসতঘর পুড়ে গেছে এবং আনুমানিক ৯০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ ও পুলিশ সুপার আলমগীর কবীর।
জেলা প্রশাসন ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে রোববার বিকেলে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণসহায়তা দেওয়া হয়েছে।