দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউল হক জেনারেলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার রাতে শ্রীবরদী চৌরাস্তায় জিয়াউল হকের নেতৃত্বে পুলিশের দুই সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রফিকুল ও আবদুল হান্নানের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
হামলায় আহত এএসআই হান্নানকে শ্রীবরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হান্নানের মুখ ও শরীরে আঘাত করা হয়েছে। তাঁর দুটি দাঁতও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া এএসআই রফিকুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আলম তালুকদার জানান, গতকাল শ্রীবরদী টেঙ্গরপাড়া স্কুলের বিদায় অনুষ্ঠানে গিয়ে চাঁদা দাবি করেন জিয়াউল হক ও তাঁর লোকজন। এ সময় তাদের হাতে মারাত্মকভাবে আহত হয় ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র মেহেদি। পুলিশ মেহেদিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ বিষয়টি নিয়ে জিয়াউলসহ ১২ জন ও অজ্ঞাত আরো আট থেকে দশজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়।
এ ছাড়া গতকাল সন্ধ্যায় শ্রীবরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে কয়েকজন বখাটে নেশা করছিল- এমন খবর পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে বখাটেদের সরিয়ে দেয়। বখাটেদের নিজের লোক দাবি করে তাদের সরিয়ে দেওয়ায় পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত হন ছাত্রলীগ নেতা জিয়াউল হক।
এ ঘটনার পর রাতে এএসআই রফিকুল শ্রীবরদী চৌরাস্তা মোড়ে গেলে জিয়াউল হক ও তার লোকজন তাকে আক্রমণ করে। আক্রান্ত এএসআই রফিকুলকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন এএসআই হান্নান। তখন তার ওপরও আক্রমণ করে তারা।
খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে এএসআই রফিকুল ও হান্নানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে তাদের শ্রীবরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ওসি রুহুল আলম তালুকদার জানান, পুলিশকে আহত করার ঘটনায় জিয়াউল হককে প্রধান আসামি করে ৪০ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়েছে। মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়টি নিয়ে শ্রীবরদী উপজেলা শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।