শেরপুরের ২ স্কুলে গতবারের প্রশ্ন বিলি!
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার দুটি স্কুলে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে আজ শনিবার ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়।
শ্রীবরদী এম.এন.বি.পি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় কিছু পরীক্ষার্থীকে ২০১৯ সালের প্রশ্নের সঙ্গে একই বিষয়ের ২০১৮ সালের কিছু প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। এমন অবস্থায় পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা পরে প্রশ্ন পাল্টে এসব পরীক্ষার্থীদের নতুন প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়।
একই ঘটনা ঘটে উপজেলার টেঙ্গরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়েও। এখানেও পুরোনো প্রশ্ন সরবরাহ করা হয় পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। তবে দুটি কেন্দ্রেই ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীদের বাড়তি সময় দেওয়া হয়।
এমন প্রশ্ন পাওয়া এক পরীক্ষার্থী জানায়, যথারীতি ঘণ্টা খানেক পরীক্ষা দেওয়ার পর খেয়াল করে তাদের দেওয়া প্রশ্ন ২০১৮ সালের। তাৎক্ষণিক বিষয়টি তারা শিক্ষকদের দৃষ্টিগোচর করেন। পরবর্তীতে হল সুপার নতুন প্রশ্ন ফটোকপি করে পরীক্ষার্থীদের সরবরাহ করেন। নতুন প্রশ্নে এক ঘণ্টা পর তাদের পুনরায় পরীক্ষা দিতে হয়।
এম.এন.বি.পি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র প্রধান মনিরুজ্জামান এ ব্যাপারে বলেন, বোর্ড থেকে পাঠানো প্রশ্নপত্রে একটি প্যাকেটের ওপর ২০১৯ সাল লেখা থাকলেও ভেতরে কিছু প্রশ্ন ২০১৮ সালের ছিল। ৭৪ জন পরীক্ষার্থীর কাছে এসব প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়। পরীক্ষা চলাকালে ব্যাপারটি আমাদের নজরে আসে। পরে আমরা নতুন প্রশ্নের ফটোকপি করে পরীক্ষার্থীদের পুনরায় পরীক্ষা নেই।
এদিকে টেঙ্গরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়েও ঘটেছে একই কাণ্ড। এখানেও ৩০ জন পরীক্ষার্থীকে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছিল।
এ ব্যাপারে টেঙ্গরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু রায়হান জানান, পরীক্ষা শুরুর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। পরে প্রশ্ন পরিবর্তন করে পুনরায় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব আবুল খায়ের বলেন, কয়েকটি কক্ষে ভুলবশত ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছিল। পরে তা পরিবর্তন করে নতুন প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেঁজুতি ধর জানিয়েছেন, পুরোনো প্রশ্ন বদলে নতুন প্রশ্ন ফটোকপি করে পরীক্ষার্থীদের দেওয়া হয়।
এতে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ইউএনও সেঁজুতি ধর বলেন, ‘এতে পরীক্ষার্থীদের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।’
শ্রীবরদীতে এবার ২ হাজার ৯৯৩ এসএসসি, ৭৪১ জন দাখিল ও ৪৪৮ জন কারিগরী পরীক্ষা দিচ্ছে।