বাঘাইছড়িতে ইউপিডিএফ নেতাকে গুলি করে হত্যা
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলিতে এক ইউপিডিএফ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বঙ্গলতলি স্কুলের পাশে নিজ বাসা থেকে বের হওয়ার সময় মোটরসাইকেলে আসা চার দুর্বৃত্ত তাঁকে গুলি করে হত্যা করলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
নিহত উদয় বিকাশ চাকমা ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) স্থানীয় সমন্বয়ক এবং তাঁর হত্যাকাণ্ডের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি—এমএন লারমাকে দায়ী করেছে ইউপিডিএফ।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল মঞ্জুর বলেন, ‘আমরা জেনেছি, বঙ্গলতলি এলাকায় উদয় বিকাশ চাকমা নামের একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি ইউপিডিএফের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং যাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে, তারা জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) সঙ্গে জড়িত। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। সেখান থেকে বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
ইউপিডিএফ মুখপাত্র মাইকেল চাকমা বলেছেন, ‘নিহত উদয় বিকাশ চাকমা আমাদের গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা এবং বাঘাইছড়ি উপজেলার সাবেক সভাপতি। তিনি ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্যও। তাঁর নিজের এলাকায় তিনি ভীষণ জনপ্রিয়।’
‘আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগেই তাঁর জনপ্রিয়তাকে ভয় পেয়ে এবং ওই এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নিতেই এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে চেয়ারম্যান প্রার্থী সুদর্শন চাকমার দল জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা)।’
মাইকেল চাকমা অভিযোগ করেছেন, দুটি মোটরসাইকেলে করে আসা চারজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী উদয়কে গুলি করে হত্যা করেছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় নেতা ও বাঘাইছড়ি উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী সুদর্শন চাকমা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর দলের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে বলেন, ‘বঙ্গলতলি এলাকাটিতে আমাদের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রমও নেই। সেটি একেবারেই ইউপিডিএফ ও সন্তু লারমার জেএসএসের নিয়ন্ত্রিত এলাকা।’ তাদের নিজেদের মধ্যকার বিরোধে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে তিনি।
সুদর্শন চাকমা আরো বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা তাদের পুরোনো অভ্যাস। হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় আমাদের দল।’