বাঘাইছড়িতে জেএসএস প্রার্থীর ভোট বর্জন, ভোটারও কম
রাতে ভোট গ্রহণ ও দিনে ভোটারদের কেন্দ্রমুখী হতে না দেওয়ার অভিযোগ এনে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) চেয়ারম্যান প্রার্থী বড়ঋষি চাকমাসহ তিন ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী।
আজ সোমবার সকাল ৮টায় বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরুর এক ঘণ্টা পরেই ভোট বর্জনের ঘোষণা দিলেন এই প্রার্থীরা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির দুটি অংশের প্রভাবশালী দুই নেতা বড়ঋষি চাকমা ও সাবেক চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা মুখোমুখি হয়েছিলেন এবারের চেয়ারম্যান পদে।
ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ও প্রার্থী বড়ঋষি চাকমা অভিযোগ করেছেন, ‘গতকাল রাতেই বিভিন্ন কেন্দ্রে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে এবং আজ সকাল থেকেই আমার সমর্থক ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দেওয়া হয়। জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) বিপুল সংখ্যক বহিরাগত ও সশস্ত্র কর্মী এলাকায় অবস্থান নিয়ে ভোট-সন্ত্রাস করলেও প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলাম। আমার সঙ্গে আরো তিন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীও নির্বাচন বর্জন করেছেন।’
রাঙামাটির রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম শফি কামাল বলেছেন, ‘বাঘাইছড়িতে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও একাধিক ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা আমরা শুনেছি। অন্যান্য উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। কোথাও কোনো অভিযোগ পাইনি।’
এ ব্যাপারে বড়ঋষি চাকমার লিখিত অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান রিটার্নিং অফিসার।
এদিকে, রাঙামাটি সদরের বিভিন্ন কেন্দ্রে আজ সকাল থেকে ভোটারদের কেন্দ্রবিমুখ হতে দেখা গেছে। পৌর এলাকায় রিজার্ভবাজারের কেন্দ্রগুলোতে মোটামুটি লাইন দেখা গেলেও সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তবলছড়ি এলাকার তিনটি কেন্দ্রের কোথাও ভোটারদের লাইন দেখা যায়নি।
শহরের কেন্দ্রগুলোর ভেতরে ও বাইরে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের তৎপরতা দেখা গেছে। কিন্তু রিজার্ভবাজার ও তবলছড়ির কেন্দ্রগুলোতে আনারস প্রতীকের এজেন্ট দেখা যায়নি। সদর উপজেলায় প্রার্থীদের তরফ থেকেও এই সময়ের মধ্যে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।