বাঘাইছড়িতে থমথমে পরিবেশ
রাঙামাটির দুর্গম এলাকা বাঘাইছড়ি উপজেলায় দুর্বৃত্তদের ব্রাশফায়ারে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার আবু তৈয়বসহ সাতজন নিহতের ঘটনায় পুরো এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
হামলায় গুলিবিদ্ধসহ আহত ১৭ জনের মধ্যে ১০ জনকে চট্টগ্রামে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বাঘাইছড়িতে ভোট গ্রহণ শেষে ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন তাঁরা।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন—বাঘাইছড়ির সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও শিক্ষক মো. তৈয়ব আলী, কিশলয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও পোলিং অফিসার আমির হোসেন, আনসার ও ভিডিপির সদস্য আলামিন, মিহির কান্তি দত্ত, জাহানারা বেগম ও বিলকিস এবং চাঁদের গাড়ির হেলপার মন্টু চাকমা।
বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিহত ছয়জনের লাশ এখনো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। আজ মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে নিহত ও আহতদের স্বজনদের কান্নায় পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে।
মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত করার পর খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. সুফি উল্লাহ।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ মঞ্জুরুল আলম জানান, ব্যালট পেপার বহনকারী গাড়ি নিয়ে প্রিসাইডিং অফিসার আবদুল হান্নান আরবের নেতৃত্বে আনসার ও পুলিশ সদস্যরা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে ফিরছিলেন। পথে নয় কিলো এলাকায় দুর্বৃত্তরা তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে ব্রাশফায়ার শুরু করে। ঘটনাস্থলেই প্রিসাইডিং অফিসারসহ পাঁচজন নিহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরো একজন। গুলিবিদ্ধসহ আহতদের হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামের সিএমএইচে পাঠানো হয়। চট্টগ্রামে নেওয়ার পথে মারা যান আরো একজন।
আহত সাতজনকে ঢাকা সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে সন্ত্রাসী হামলার পর বাঘাইছড়ির দুর্গম ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।