আ.লীগ নেতা সুরেশ তঞ্চঙ্গ্যা হত্যায় ২৮ জনের নামে মামলা
রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যার ঘটনার পাঁচদিনের মাথায় ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম স্নেহাশীষ চাকমা।
গতকাল শুক্রবার রাতে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির উপজেলা কমিটির সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান শুভ মঙ্গল চাকমাকে প্রধান আসামি করে দলটির আরো ২০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো সাত থেকে আটজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলা করেন উপজেলা যুবলীগের অর্থ সম্পাদক মনির হোসেন।
বিলাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজ আলী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে কোতোয়ালি থানার ওসি জাহিদ হোসেন রনি জানান, মামলার পর আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে স্নেহাশীষ চাকমা নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী।
মামলার ব্যাপারে বিলাইছড়ি থানার ওসি পারভেজ আলী জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে নয়, দলের পক্ষ থেকেই মামলাটি করা হয়েছে। একজন দলীয় সহকর্মীই মামলাটি করেছেন। আইন এখন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে।
গত ১৯ মার্চ সকালে উপজেলা নির্বাচনের কাজ শেষে ফারুয়া এলাকা থেকে সপরিবারে বিলাইছড়ি ফিরছিলেন সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা। তাঁরা আলিখিয়ং এলাকায় পৌঁছালে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাকে বহনকারী ইঞ্জিনচালিত বোটটি থামিয়ে তাঁর বুকে ও কপালে গুলি করে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া শহরে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দেওয়া হয়।
এদিকে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় নির্বাচনকাজে নিয়োজিত সাতজনকে ব্রাশফায়ার করে হত্যার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে।
গত বুধবার রাতে মধ্যপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আক্তার আলী বাদী হয়ে বাঘাইছড়ি থানায় এই মামলা করেন।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলায় কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি। নিজেদের কাছে থাকা ক্লুর মাধ্যমে আসামিদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত সোমবার রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণের দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে ব্রাশফায়ারে সাত নির্বাচনী কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।