মর্যাদা নিয়ে প্রশাসনের একাংশে অসন্তোষ
উপজেলা পরিষদে ১৭টি দপ্তর হস্তান্তর করে পরিপত্র জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ওই দপ্তরগুলোর ৩৯ পদের সরকারি কর্মকর্তা এবং তাঁদের অধীন কর্মচারীদের বেতন-বিলে এখন থেকে সই করবেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এর ফলে ইউএনও ছাড়া বাকি সব দপ্তরের কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। মর্যাদার দাবিতে আন্দোলনও শুরু করেছেন।
তাঁরা বেতন-ভাতার বিলে ইউএনওর স্বাক্ষর দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে ঘোষিত জাতীয় বেতন স্কেলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল পুনর্বহালসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন। এই সব দাবিতে সারা দেশে সংগঠিত হচ্ছেন ১৬ দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরই মধ্যে তাঁরা দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন করেছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্যদের কাছে তাঁদের দাবি তুলে ধরে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
পরিপত্রে যা আছে : গত ৩১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপজেলা পরিষদে ১৭ দপ্তরের হস্তান্তর প্রস্তাব আবার অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রায় দেড় মাস পর গত বৃহস্পতিবার ১৪ অক্টোবর এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮ এর ২৪ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে স্থানীয় সরকার বিভাগের ১৭ জুন ২০১০ তারিখের প্রজ্ঞাপন ও ২০১৩ সালের ৬ জানুয়ারির প্রজ্ঞাপন দিয়ে ওই আইনের তৃতীয় তফসিলে বর্ণিত উপজেলা পর্যায়ের কতিপয় দপ্তর ও কাজ (সংযোজনী-১) উপজেলা পরিষদে হস্তান্তর করা হয়। উপজেলা পরিষদকে অধিকতর কার্যকর করার লক্ষে পরিষদে হস্তান্তরিত দপ্তর ও কাজের সঙ্গে যুক্ত উপজেলা ও ইউনিয়ন বা এর নিম্নপর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এই আদেশ জারির তারিখ থেকে উপজেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণে ন্যস্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবেন।
এই ন্যস্ত হওয়ার তারিখ থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের বেতন-ভাতা ও এই সংক্রান্ত অন্যান্য ব্যয়ের অর্থ স্ব স্ব উপজেলা পরিষদ থেকে গ্রহণ করবেন। এ ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮ এর ৩৫ ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ সরাসরি উপজেলা পরিষদের অনুকূলে বরাদ্দ করবে এবং এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে জানাবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ এ সংক্রান্ত বাজেট প্রণয়ন, বরাদ্দ সংগ্রহ, অর্থছাড়করণ ও হিসাবরক্ষণ নিশ্চিত করবে বলে পরিপত্রে বলা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের অনুকূলে পাঠানো অর্থ পারসোনাল লেজার (পিএল) অ্যাকাউন্টে জমা হবে। ওই হিসাব পরিচালিত হবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউএনওর যৌথ স্বাক্ষরে।
অর্থাৎ ১৬টি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এত দিন তাদের মন্ত্রণালয় বা বিভাগ থেকে সরাসরি বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক অর্থ পেলেও এখন তাঁদের ওই অর্থের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনওর যৌথ স্বাক্ষরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। দুজনের যৌথ স্বাক্ষর ছাড়া বেতন বা কোনো রকম বিল উত্তোলন করতে পারবেন না প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি বিরাট অংশ। এতে আগের চেয়ে সময় ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আরো বাড়বে বলে মনে করেন ১৬ দপ্তরের কর্মকর্তারা।
গত বৃহস্পতিবারের পরিপত্রে আরো বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদে ন্যস্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগ অনতিবিলম্বে এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করবে। ওই আদেশ জারি শেষ হলেই উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনওর যৌথ স্বাক্ষরে বেতন-ভাতা নিতে হবে অন্য দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই উপজেলা পরিষদ আইনে এই বিধান ছিল। নানা কারণে তা এত দিন কার্যকর হয়নি। এখন সেই আইনের আলোকে মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার আশা করে সবাই এই সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবে।’
দানা বাঁধছে ক্ষোভ : উপজেলা পরিষদে হস্তান্তরের ফলে অন্য ১৬ দপ্তরের প্রধানরা নিজেদের সত্তা হারাবেন বলে অভিযোগ করছেন। সেই সঙ্গে অধিদপ্তর ও অফিস প্রধানরা জনবল ব্যবস্থাপনায় নিয়ন্ত্রণ হারাবেন এবং কাজ সম্পাদনে শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হবে বলেও অভিযোগ করছেন তাঁরা।
তাই এই পদ্ধতি বাতিল ও ঘোষিত জাতীয় বেতন স্কেলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন করছেন ১৬ দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এই দাবিতে বিসিএস সমন্বয় কমিটি (২৬ ক্যাডার), নন ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিস নামে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া Cadre Equity Mirror : ক্যাডার সমতা দর্পণ নাম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নিজেদের সংগঠিত করছেন আন্দোলনকারীরা।
নিজেদের দাবি আদায়ে এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশসহ বেশ কিছু কর্মসূচি পালন করেছেন ১৬ দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ছয় দফা দাবি আদায়ে ১৯ অক্টোবর সোমবার খুলনায় পেশাজীবী মহাসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে সকাল ১০টা থেকে এই সমাবেশ শুরু হবে। বিসিএস সমন্বয় কমিটি (২৬ ক্যাডার), ননক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিস খুলনা এই সমাবেশের আয়োজন করেছে।
তাদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বহাল, বেতন ভাতায় ইউএনও ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর বাতিল, কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন, পদোন্নতির ক্ষেত্রে সবার সমান সুযোগ-সুবিধা দেওয়া ও উপজেলা থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের সমান পদমর্যাদা প্রতিষ্ঠা।
Cadre Equity Mirror : ক্যাডার সমতা দর্পণ নিজেদের দাবির পক্ষে ফেসবুকে বেশ কিছু যুক্তি তুলে ধরেছে। তাদের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস জ্যেষ্ঠতা বিধিমালা’ ১৯৮৩ এর বিধি ৩(ই) উপঅনুচ্ছেদ অনুসারে ক্যাডার সার্ভিসের সর্বনিম্ন পদে নিয়োগের তারিখ থেকে পারস্পরিক জ্যেষ্ঠতার হিসাব করা হয়। অনেক উপজেলায় কর্মরত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তুলনায় জ্যেষ্ঠ। সে ক্ষেত্রে ইউএনওর তদারকিতে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা অস্বস্তিকর, বিড়ম্বনামূলক ও বিধি পরিপন্থী।
এ ছাড়া উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের মধ্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ইউএনওর মতোই ক্যাডার অফিসার এবং একই বেতন স্কেলের (ষষ্ঠ গ্রেড) কর্মকর্তা। কোনো কোনো উপজেলায় কর্মরত ওই কর্মকর্তারা এরই মধ্যে বেতন স্কেলের উচ্চতর স্কেলে (পঞ্চম গ্রেড) উন্নীত হয়েছেন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, একই স্কেল বা অপেক্ষাকৃত উন্নত স্কেলের একজন ক্যাডার কর্মকর্তা অন্য একজন ক্যাডার কর্মকর্তার কাছ থেকে বেতন বিল অনুমোদন নেবেন, যাকে অযৌক্তিক, অমর্যাদাকর এবং অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করছেন ১৬ দপ্তরের কর্মকর্তারা।
তাঁদের ভাষ্যমতে, প্রশাসনের কোনো কাজ বাস্তবায়নে একাধিক কর্মকর্তার স্বাক্ষরে আর্থিক ব্যবস্থা পরিচালিত হওয়ার বিধান রাখায় কাজে দীর্ঘসূত্রতা বাড়বে। সেই সঙ্গে মধ্যস্বত্বভোগী ও দুর্নীতিবাজদের দৌরাত্ম্য বাড়বে বলে মনে করছেন আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ও জনগণের দোরগোড়ায় দ্রুত সেবা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে বলেও মত তাঁদের।
নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে বিসিএস (কৃষি), বিসিএস (স্বাস্থ্য), বিসিএস (প্রাণিসম্পদ), বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা) ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়া কারিগরি ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ওপর অকারিগরি কর্মকর্তাদের খবরদারি বাড়বে বলেও আশঙ্কা করছেন আন্দোলনকারীরা। আর এর ফলে প্রযুক্তিবান্ধব সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে আন্দোলনকারীদের ফেসবুক গ্রুপ ক্যাডার ইকুইটি মিররের মুখপাত্র এবং অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা (বিসিএস-কৃষি ক্যাডার) খন্দকার মোহাম্মদ রাশেদ ইফতেখার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এই নিয়মের ফলে বিভিন্ন বিভাগের কন্ট্রোলিং পাওয়ারটা চলে যাচ্ছে। আমি যখন বেতন বিল বা আনুষঙ্গিক বিল নেওয়ার জন্য ইউএনওর দারস্থ হব তখন তো আমার নিজ দপ্তরের হায়ারারকি ভেঙে পড়বে। উপজেলা পরিষদের অন্তর্ভুক্ত হতে যাওয়া দপ্তরগুলোর মধ্যে ক্যাডার কর্মকর্তা আছেন পাঁচটি ডিপার্টমেন্টে। এদের মধ্যে অনেক কর্মকর্তাই ইউএনওর সমান। কোথাও কোথাও কোনো কর্মকর্তা ইউএনওর চেয়ে সিনিয়র। সে ক্ষেত্রে ইউএনওর কাছে বেতন-ভাতার জন্য সই নিতে যাওয়ার বিষয়টা অবমাননাকর। প্রকল্প উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে, চেইন অব কমান্ড ভেঙে যাবে, ভাগ বাটোয়ারার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থের সর্বোচ্চ অপপ্রয়োগ ঘটবে।’
গতকাল শনিবার ২৬ ক্যাডার সমন্বয় কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৪ অক্টোবর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে প্রতিনিধি সমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
খন্দকার মোহাম্মদ রাশেদ ইফতেখার বলেন, পুরো বিষয়টি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এক ধরনের অশুভ ষড়যন্ত্র। এ বিষয়ে জানাতে কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টাও করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘জনগণের জন্য যা কল্যাণকর হবে সেটাই করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কোনটা জনগণের জন্য কল্যাণকর হবে তা নির্ধারণের এখতিয়ার ও বিবেচনাবোধ দুটোই সরকারের আছে। তিনি বলেন, ‘আমরা চাকরিজীবী। আপনার যেমন আপনার ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা সম্ভব না আমাদের পক্ষেও সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা সম্ভব না। কোনোভাবেই গভর্নমেন্টের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ আমাদের নেই।’
উপজেলা পরিষদে হস্তান্তর নিয়ে ১৬ দপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের যদি এই ব্যবস্থায় কোনো অসুবিধা বা সমস্যা মনে হয় তাহলে তা নিজ নিজ দপ্তরকে জানাবেন। সেই সব দপ্তর সমস্যার কথা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে জানাবে। এরপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
সচিব বলেন, ‘কারো মর্যাদা সমুন্নত রাখা, হায়ারার্কি (পদ মর্যাদার ভিত্তিতে মান নির্ধারণ) ঠিক রাখা সরকারের কাজ নয়। সরকারের কাজ জনগণের সেবা করা, জনগণের কল্যাণ করা।’
হস্তান্তর হচ্ছেন যাঁরা : উপজেলা পরিষদে উপজেলা পর্যায়ের ১৩টি মন্ত্রণালয়ের ১৭টি অধিদপ্তর/বিভাগকে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই অধিদপ্তর বা বিভাগে কোন কর্মকর্তারা আছেন তা প্রজ্ঞাপনের সংযোজনী-১ উল্লেখ করা আছে। কর্মকর্তারা হচ্ছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ফাইন্যান্স অফিসার); স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন/সার্জারি/গাইনি/অবস্/চক্ষু/ইএনটি/শিশু/কার্ডিওলজি), আবাসিক মেডিকেল অফিসার, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (এনেসথেশিয়া), মেডিকেল অফিসার ও ডেন্টাল সার্জন এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি), সহকারী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও সিনিয়র পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য অধিদপ্তরের উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি সার্জন; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমকর্তা; সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা; প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা; মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা; স্থানীয় সরকার বিভাগের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী, উপসহকারী প্রকৌশলী ও নকশাকার (উপসহকারী প্রকৌশলী) এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী, উপসহকারী প্রকৌশলী, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সমবায় অধিপ্তরের উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ও সহকারী পরিদর্শক এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ও সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা; পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের বন অধিদপ্তরের ফরেস্টার/ডেপুটি রেঞ্জ কর্মকর্তা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
প্রজ্ঞাপনে জুনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন/সার্জারি/গাইনি/অবস্/চক্ষু/ইএনটি/শিশু/কার্ডিওলজি) পদ দুই বার উল্লেখ করা হয়েছে। সিনিয়র কনসালট্যান্ট পদ থাকলেও তা উল্লেখ করা হয়নি।