এক রাতে জন্ম, একে একে সাত ভাইবোনের মৃত্যু
রাতে একে একে তিনটি ছেলে ও চারটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন এক নারী। এই খবর শুনে আনন্দে বিভিন্ন স্থানে ফোন দেওয়া শুরু করেন স্বজনরা।
কিন্তু সকাল হতেই সেই আনন্দ মিশে গেছে দুঃখে। একটি শিশুকেও বাঁচাতে পারেননি চিকিৎসকরা। কারো মুখেই ‘মা’ ডাকটি শুনতে পারেননি সেই মা। সকাল হতেই সব সন্তান তাকে ছেড়ে চলে গেছে চিরতরে। গর্ভধারণের পাঁচ মাসের মাথায় জন্ম নেওয়ার কারণে শিশুদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুরের বেসরকারি সিটি হাসপাতালে সাত সন্তানের জন্ম দেন নাজমা আক্তার (১৮)। তিনি সদর উপজেলার লাহারকান্দি গ্রামের পাটোয়ারি বাড়ির প্রবাসী মো. রাজুর স্ত্রী।
হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল্লাহ নওশের ওই সাত শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতাল থেকে জানা গেছে, গর্ভধারণের মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় অপরিণত অবস্থায় ওই সাত শিশুর জন্ম দেন প্রসূতি নাজমা আক্তার। শিশুদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ঢাকায় নেওয়ার আগেই ওই সাত শিশুর মৃত্যু হয়। পরিবারের লোকজন তাৎক্ষণিক মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছে। তবে প্রসূতি নাজমা সুস্থ আছেন।
নাজমা আক্তারের মা শাহেদা বেগম জানান, শিশুদের ঢাকায় নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই তারা মারা গেছে। তাঁর মেয়ে সুস্থ আছে।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপক ওমর ফারুক বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগে জন্ম নেওয়ায় শিশুগুলো আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছিল। জন্মের পরই শিশুদের ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এরই আগেই তারা মারা গেছে। তাদের মরদেহ পরিবারের লোকজন বাড়িতে নিয়ে গেছে।