সাকা চৌধুরী এত দিন পাকিস্তানের এজেন্টের কাজ করেছেন
মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রকে সাফাই সাক্ষী মানাতে প্রমাণিত হয় গত ৪৪ বছর ধরেই তিনি তাদের এজেন্ট হয়ে কাজ করেছেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে কালিয়াকৈর বাসস্ট্যান্ডে কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক স্মরণ সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী বলেন, ‘এই সাকা চৌধুরী পাকিস্তানের সপক্ষে সেই সময় অবস্থান নিয়ে যুদ্ধাপরাধ করেছেন, পরবর্তীকালে এই ৪৪ বছর যাবত পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। যে আমেরিকা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সপ্তম নৌবহর পাঠিয়ে যুদ্ধকে স্তব্ধ করতে চেয়েছিল, তাদের সাফাই সাক্ষী মানা এটা বিচিত্র কিছু নয়। এতেই প্রমাণিত হয় সাকা চৌধুরী কাদের স্বার্থ হাসিল করতে চেয়েছিলেন।’
স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হক আরো বলেন, ‘ইতিপূর্বে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে আপনারা দেখেছেন কাদের মোল্লার (জামায়াতে ইসলামীর নেতা) ফাঁসি হওয়ার পর বলছে এই কাদের মোল্লা পাকিস্তানের বন্ধু ছিল এবং পাকিস্তানের আদর্শ-উদ্দেশ্য রক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছিল। কিন্তু এর আগে কিন্তু জামায়াতে ইসলামী বলেছিল, এই কাদের মোল্লা সেই কাদের মোল্লা নয়। কিন্তু পাকিস্তানের পার্লামেন্টে তার হত্যার জন্য শোক প্রস্তাব আনার মাধ্যমে প্রমাণ করেছে আমরা যা কথাগুলো বলে আসছি, আওয়ামী লীগ যা বলে আসছে, আমাদের মহান নেত্রী যা কথা বলে আসছে সেটা যে সত্য এই কথার মাধ্যমে তাই প্রমাণিত হয়েছে।’
স্থানীয় যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রফিকের হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসিম কবির। বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাসেল, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রায় গত ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভার পাশে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক।