শেরপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের গুলিতে কৃষক নিহত
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ধানকাটা নিয়ে সংঘর্ষে গুলিতে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার যোগানিয়া ইউনিয়নে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত কৃষকের নাম ইদ্রিস আলী (৪০)। তিনি ওই ইউনিয়নের কুত্তামারা গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে।
নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, যোগানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হবির অবৈধ অস্ত্রের গুলিতে নিহত হন ইদ্রিস।
স্বজনরা বলেন, মূলত বিগত উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হবি ও নিহতের চাচাতো ভাই সোহরাব আলীর মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হবি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থক ছিলেন তিনি। বিপরীতে সোহরাব আলী হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোকছেদুর রহমান লেবুর সমর্থক। নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার কারণে সোহরাব আলীর সঙ্গে চেয়ারম্যান হবির দ্বন্দ্ব বৃদ্ধি পায়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ সকালে কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে সোহরাব আলীর জমিতে ধান কাটতে যান। ওই জমির পাশেই ইউপি চেয়ারম্যান হবির ভাতিজি জামাই মাজব আলীর জমি। আগের নির্বাচনী বিরোধের কারণে মাজব আলী ধান কাটতে সোহরাব আলীকে বাধা দেন। বাধা পেয়ে সোহরাব আলী ফিরে এসে আরো লোকজন সংগ্রহ করে পুনরায় ধান কাটতে যান। এ সময় চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হবি লোকজন নিয়ে মাজব আলীর পক্ষে সোহরাব আলীর লোকজনের ওপর হামলা চালান। এই হামলা চলাকালেই গুলিবিদ্ধ হন ইদ্রিস আলী। তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত নালিতাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ইদ্রিস আলীর দেহ নিজেদের জিম্মায় নিয়েছে। থানা থেকে জানানো হয়েছে, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হবি ও তাঁর লোকজন আত্মগোপনে চলে গেছেন।