স্কুলছাত্রদের গুলি করে হত্যার হুমকি, চারজনের নামে মামলা

Looks like you've blocked notifications!
নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচির সময় রোববার ঠিকাদার মঈন উল্লাহ দুলুর লোকজন হামলা চালায়। ছবি : এনটিভি

নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচির সময় গুলি করে হত্যার হুমকির ঘটনায় চারজনের নামে মামলা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে সদর থানায় মামলাটি করেন ওই বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পাস করা জাকারিয়া খান।

মামলায় আসামি করা হয়েছে শহরের মহিষখোলার ঠিকাদার রেজাউল আলম (৪৬), কামরুল ইসলাম (৪০), মঈন উল্লাহ দুলু (৫০) ও দুখুকে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বাদী শহরের ভওয়াখালী এলাকার জাকারিয়া জানান, অভিভাবকের হাতে নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রদেশ কুমার মল্লিক স্যারের লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতিবাদে ও দোষীদের বিচার দাবিতে শিক্ষার্থীরা গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। ওই সময় আসামিরা বেআইনিভাবে জোটবদ্ধ হয়ে স্কুলছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকি দেন তারা। আসামিদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীরা ছোটাছুটি শুরু করে। এ ছাড়া আসামিরা শিক্ষার্থীদের চড়থাপ্পড়ও মারেন। ঘটনার সময় এক নম্বর আসামি রেজাউল আলম আমার (বাদী) কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন।

এ ব্যাপারে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া রেজাউল আলমের লাইসেন্সকৃত পিস্তলটি থানায় জমা নেওয়া হয়েছে।

নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী শিক্ষক প্রদেশ মল্লিক জানান, গত ১৫ জুন শনিবার সকালে তাঁর বাসায় শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানোর সময় পড়ালেখা নিয়ে সানজিনা এরিনা নামের এক ছাত্রীকে শাসন করেন তিনি। এরিনা বিষয়টি বাড়িতে গিয়ে তার বাবা শহরের মহিষখোলার ঠিকদার মঈন উল্লাহ দুলুকে জানায়। এরপর ওই ছাত্রীর বাবা বাসায় এসে তাঁকে মারধর করেন।

তবে অভিযুক্ত অভিভাবক মঈন উল্লাহ দুলু ভুক্তভোগী শিক্ষক প্রদেশ কুমারকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

বিষয়টি জানাজানি হলে নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা ওই অভিভাবকের বিচার দাবিতে রোববার সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয়ের সামনে নড়াইল-যশোর সড়কে অবস্থান নিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধসহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এ সময় সেখানে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ওপর হঠাৎ করে চড়াও হয় অভিযুক্ত অভিভাবক ঠিকাদার মঈন উল্লাহ দুলুর লোকজন। দুলুর পক্ষ নিয়ে একই এলাকার ঠিকাদার রেজাউল আলমসহ তাঁর অনুসারীরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের তাড়া করে মারধরে উদ্যত হয়। একপর্যায়ে প্রশাসনের লোকজনের সামনেই রেজাউল আলম পিস্তল বের করে ছাত্রদের গুলি করার জন্য এগিয়ে যান বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এ ব্যাপারে ঠিকাদার রেজাউল আলম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি।