‘সরকার ঠেকাতে পারছে না’
‘হামলা ঠেকানোর দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু সরকার তা পারছে না। এটা সরকারের ব্যর্থতা।’ লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়ের ওপর হামলার ঘটনা উল্লেখ করে এ কথা বলেছেন ভাস্কর রাসা। আজ শুক্রবার বিকেলে অভিজিৎ হত্যার প্রতিবাদে গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
সমাবেশে এর আগে হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্লগার রাজীবের হত্যাকারীদের উপযুক্ত বিচার না হওয়ার বিষয় উল্লেখ করেও অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ব্লগার রাজীবের হত্যাকারীরা জামিন পেয়ে গেছে উল্লেখ করে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী মোনা খন্দকার বলেন, হত্যাকারীদের কেউ কেউ বিদেশে চলে গেছে। তারা পার না পেলে আজ এ ধরনের হত্যাকাণ্ড হতো না। আইনের ফাঁকফোকরের কারণেই এরা অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে।
শাহবাগ চত্বরে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মসূচিতে গিয়ে দেখা যায়, চারপাশে মানুষ আর মাঝখানে একটা ব্যানার। তাতে লেখা ‘অভিজিৎ রায়’রা হারলে হারবে বাংলাদেশ’। এ প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী, সংস্কৃতিকর্মী, শিল্পী, সাহিত্যিক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
‘পদ্মা মেঘনার হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘অভিজিৎ-রাজীবের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘সাম্প্রদায়িক হামলা, রুখে দাও বাংলা’, ‘আনসারউল্লাহ-জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে, গর্জে ওঠো জনতা’ এসব স্লোগানে এখন মুখর শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ। স্লোগানেই নিজেদের ক্ষোভ জানাচ্ছেন প্রতিবাদকারীরা, দাবি জানাচ্ছেন অভিজিৎ হত্যাকারীদের বিচারের। বিচার নিশ্চিত করেই ঘরে ফিরতে চান তাঁরা।
সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, ব্লগার অভিজিতের ওপর এই মামলা পরিকল্পিত। এর আগে ব্লগার রাজীব, হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলাসহ এ ধরনের সবগুলো হামলা ছিল পরিকল্পিত। প্যারিসের শার্লি এবদোর অফিসে হামলাসহ এ ধরনের যত হামলা হচ্ছে তাদের মধ্যে এক ধরনের যোগসূত্র আছে।
আজ সকাল ১০টা থেকে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সমাবেশ চলছে জানিয়ে ইমরান এইচ সরকার বলেন, সমাবেশে অবস্থানকারীরা চান হামলার বিচার নিশ্চিত করেই ঘরে ফিরতে।
মঞ্চের কর্মী ও স্থপতি সাঈদা সুলতানা এ্যামি বলেন, অভিজিৎ হিন্দু না মুসলিম তার চেয়ে বড় পরিচয় তিনি একজন মানুষ। একজন মানুষের এমন নির্মম মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। ৪৩ ব্ছর আগে যারা দেশ স্বাধীন করতে চায়নি, সেই শক্তি এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে।