হিংস্র হয়ে উঠছে লালমনিরহাটের ধরলা নদী

Looks like you've blocked notifications!
ধরলা নদীর গ্রাসে বিলীন হয়ে গেছে লালমনিরহাটের কয়েকটি বাড়িসহ ফসলি জমি। ছবি : ইউএনবি

বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই হিংস্র হয়ে উঠছে লালমনিরহাটের ধরলা নদী। গত দুদিনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বাড়িসহ বেশ কিছু ফসলি জমি। এর ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ধরলা তীরবর্তী মানুষ।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট-মোঘলহাট ইউনিয়নের বেশ কয়কটি গ্রামে ধরলার ডান তীর এরই মধ্যে ভাঙতে শুরু করেছে। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে ২৯ জুন ভোর থেকে হঠাৎ করে আবার পানি বেড়ে গিয়ে হিংস্র হয়ে ওঠে ধরলা নদী। দিনে শান্ত থাকলেও রাতে ধরলার হিংস্রতা বাড়ে। তাই নির্ঘুম রাত কাটাতে হয় নদীপাড়ের মানুষকে।

এদিকে নদীভাঙনের মুখে পড়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ শতাধিক ঘরবাড়ি। ভাঙন রোধ করা না গেলে ইটাপোতা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, শবেরকুটি বাজার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ক্যাম্প, মোঘলহাট বাজার, মোঘলহাট রেলস্টেশন, লালমনিরহাট-মোঘলহাট সড়কসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

কয়েক দিন আগে কুলাঘাট ইউনিয়নের ওয়াপদা বাজারের শীবের কুটি চরের পাকা রাস্তার একটি কালভার্ট ভেঙে গেছে। এখনো যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে পারেনি পাউবো ও সড়ক বিভাগ। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় রাস্তা পার হচ্ছেন এলাকাবাসী।

অবশ্য পাশেই বোমা মেশিনের সাহায্যে বালু দিয়ে ভরাট করছে পাউবো। কিন্তু ধরলার হিংস্রতায় মাটি ও বালু আটকানো সম্ভব হচ্ছে না।

স্থানীয় বাসিন্দা আলী জানান, ধরলার গ্রাসে ছয়বার বসতবাড়ি সরাতে হয়েছে। কিন্তু সরকারের কাছ থেকে তিনি কোনো ত্রাণ পাননি। গত বছর তালিকা করে নিয়ে গেলেও ত্রাণ দেওয়া হয়নি। এ বছরও যেকোনো সময় বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। তাই দ্রুত নদীভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

লালমনিরহাট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ধরলায় পানি বাড়ায় এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে এরই মধ্যে আপৎকালীন একটি প্রকল্প চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলেই দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।’