প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শিশু ভাগ্নিকে হত্যা!
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় প্রথম শ্রেণির ছাত্রী নাজনীন আক্তারকে (৭) হত্যার অভিযোগে তার আপন মামাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজনকে ফাঁসাতে এই হত্যার ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
urgentPhoto
গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলেন নিহত নাজনীনের মামা রিপন ও তাঁর সঙ্গী রবিউল। তাঁরা দুজন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে আজ মঙ্গলবার গাজীপুরের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান।
এর আগে আজ দুপুরে গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া এলাকার নানার বাড়িতে স্কুলশিক্ষার্থী নাজনীন আক্তারকে (৭) গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে এ ঘটনায় স্থানীয় আবদুল করিম, কাদেরসহ প্রতিপক্ষের কয়েকজনকে আসামি করে শ্রীপুর মডেল থানায় মামলা করা হয়। পরে পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। আর এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নাজনীনের মামা রিপনকে ঢাকার রামপুরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁর স্বীকারোক্তি মতে একই এলাকা থেকে রবিউল নামের অপর একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের হেফাজত থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নিহত নাজনীন শ্রীপুর উপজেলার চকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ত। সে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার মাইচচর এলাকার আক্কাছ আলীর মেয়ে। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে আক্কাছ আলী তাঁর প্রথম স্ত্রী আসমা বেগমকে (নাজনীনের মা) রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করেন এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী এলাকায় বসবাস করতে থাকেন। পরে নাজনীনের মা আসমা বেগমও দ্বিতীয় বিয়ে করে মেয়ে নাজনীনকে তার নানার কাছে রেখে স্থানীয় সলিং মোড় এলাকায় দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে বসবাস করছেন।