যশোরে সহকর্মীর ছুরিকাঘাতে প্রেসকর্মী খুন
সহকর্মীর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন যশোরের ঝুমঝুমপুর এলাকার ইউনিক প্রিন্টিং প্রেসের মেশিনম্যান শহিদুল ইসলাম (৩০)। গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের একমাত্র সন্দেহভাজন একই প্রেসের মেশিন হেলপার আশরাফুলকে আটক করেছে। নিহত শহিদুল ইসলাম সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে।
নিহতের সহকর্মীরা জানায়, সোমবার রাত ৯টার দিকে ছাপাখানার একটি বিষয় নিয়ে মেশিনম্যান শহিদুল ও তাঁর সহকারী আশরাফুল বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে ছাপাখানার ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান সেখানে গিয়ে তাদের বিরোধ মীমাংসা করে দেন। পরে খাওয়ার কথা বলে আশরাফুল বাড়ি চলে যান। কিছুক্ষণ পর আশরাফুল ছাপাখানায় ফিরে এসে শহিদুলের পেটে ছুরিকাঘাত করেন। খবর পেয়ে ছাপাখানার ব্যবস্থাপক ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে শহিদুলকে উদ্ধার করে রাত ১০টার দিকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত শহিদুলের ভাই আবু সাইদ জানান, ছাপাখানার ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর ভাইকে দুর্ঘটনার রোগী হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁর ভুল তথ্যের কারণেই হাসপাতালে তাঁর ভাইয়ের সঠিক চিকিৎসা হয়নি। আর সে কারণেই তাঁর ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে শহিদুলের মৃত্যুর খবর পেয়ে এলাকাবাসী ইউনিক প্রিন্টিং প্রেসের ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমানকে ধরে মারপিট করেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আককাস আলী জানান, প্রেসকর্মী খুনের সঙ্গে জড়িত একমাত্র সন্দেহভাজন আশরাফুলকে আটক করা হয়েছে। আশরাফুলের বাড়ি সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর মান্দারতলা গ্রামে।