গাজীপুরে ছুরিকাঘাতে আইনজীবী নিহত
গাজীপুরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খন্দকার এনামুল হক বিপ্লব (৪২) নামে এক শিক্ষানবিশ আইনজীবী নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে গাজীপুর শহরের উত্তর ছায়াবিথী এলাকায় নিজ বাড়ির কাছে তাঁকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
বিপ্লব গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি শহিদুজ্জামানের জুনিয়র ছিলেন। তিনি ওই এলাকার মৃত খন্দকার সামসুদ্দিনের ছেলে এবং সুপ্রিম কোর্টের সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল খন্দকার আমিনুল হক টুটুলের ছোট ভাই।
বিপ্লবের মা রেহানা আক্তার অভিযোগ করেন, গাজীপুর জজকোর্টের সেরেস্তাদার মাসুদুর রহমানের দুই ছেলে রাব্বি ও রবিন তাঁর ছেলেকে বিনা অপরাধে খুন করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিপ্লব তাঁর ছোট বোনের বাড়ি টাঙ্গাইল থেকে সন্ধ্যায় নিজ বাসার সামনে এসে প্রাইভেটকারে নামেন। এ সময় দুই যুবক ‘কথা আছে’ বলে তাঁকে কাছে ডাকে। একপর্যায়ে তাঁকে ছুরিকাঘাত ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
বিপ্লবের ভাই খন্দকার আমিনুল হক টুটুল জানান, বিপ্লবের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে রাত ৭টার দিকে উত্তরার আধুনিক হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁর অবস্থার আরো অবনতি ঘটে। সেখান থেকে ঢাকায় কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে বিপ্লব মারা যায়।
কেন বিপ্লবের ওপর হামলা করা হয়েছে তা জানাতে পারেননি খন্দকার আমিনুল হক টুটুল। তিনি জানান, নয়দিন আগে তাঁদের বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
জয়দেবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল হামিদ জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) মো. আব্দুস সালাম সরকার এনটিভি অনলাইনকে জানান, বিপ্লবের বুকের বাম ও ডান দিকে এবং পেটে ৮/৯টি ছুরিকাঘাত এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।