সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া কোরে অত্যাধুনিক ট্যাংক সংযোজন করার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে দুটি নতুন সাঁজোয়া রেজিমেন্ট গঠনের কথাও বলেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়ায় ১২ ল্যান্সারকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড (জাতীয় পতাকা) প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে হেলিকপ্টারযোগে বগুড়া সেনানিবাসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে  সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক এবং বগুড়ার জিওসি তাঁকে স্বাগত জানান। সম্মিলিত প্যারেড এ সময় শেখ হাসিনাকে অভিবাদন জানায়।

পরে বগুড়া সেনানিবাসে অবস্থিত ১২ ল্যান্সারের ইউনিট কমান্ডারের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর সেখানে দেওয়া ভাষণে জাতীয় পতাকার সম্মান সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রায় সাত বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বগুড়ায় যান। সেখানে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং জনসভায় বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে তাঁর।

সে অনুযায়ী ১২ ল্যান্সারকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানের পর দুপুর আড়াইটায় স্থানীয় আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

সভাস্থলে ডিজিটাল ইলেকট্রনিকস বোর্ডের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ৭৬৭ কোটি ৬৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এর মধ্যে ৩৪৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৪২১ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৫টির ভিত্তিফলক স্থাপন করবেন।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর বগুড়া যাওয়া উপলক্ষে ব্যানার আর ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে গোটা শহর। বগুড়ার প্রবেশপথ চান্দাইকোনা থেকে বগুড়া শহর পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার মহাসড়কের ধাপে ধাপে লাগানো হয়েছে ব্যানার-ফেস্টুন। প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বড় বড় তোরণ স্থাপন করা হয়েছে। শহরের প্রবেশদ্বার বনানী থেকে জনসভাস্থল আলতাফুন্নেচ্ছা খেলার মাঠ পর্যন্ত সাজানো হয়েছে।