প্রধান তর্ক—ঐশীর বয়স কত

Looks like you've blocked notifications!

পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলার বিচারে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে ঐশীর বয়স নিয়ে। ঐশী প্রাপ্তবয়স্ক, না অপ্রাপ্তবয়স্ক; কোন আদালতে হবে ঐশীর বিচার—সাধারণ, না শিশু আদালত? এ নিয়ে চলেছে পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক-বিতর্ক। 

আজ বৃহস্পতিবার ঘোষিত রায়ে মা ও বাবাকে হত্যার ঘটনায় ঐশীকে ‘ডাবল’ মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু রায় ঘোষণার পরও এ বিতর্কের অবসান হয়নি। দুই পক্ষের আইনজীবী বিষয়টি নিয়েই কথা বলেছেন।

রায়ের আগে পর্যবেক্ষণে এবং রায় ঘোষণার পর আসামিপক্ষের আইনজীবীর পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে আবারো সামনে উঠে আসে ঐশীর বয়সের বিষয়টি। 

আজ দুপুরে ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণার সময় দেওয়া পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ ঐশীর প্রকৃত বয়স প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আর সে যে সাবালিকা, এটাও প্রমাণ হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ঘটনার সময় সে সাবালিকা ছিল, এটা প্রমাণিত হয়েছে। এ ছাড়া আদালতে এ মামলার জেরার সময় ঐশী নিজে তার বয়স ১৯ বলে স্বীকার করেছে। তার বিভিন্ন পরীক্ষার সনদ এবং ডিএনএ পরীক্ষার ভিত্তিতে সে যে প্রাপ্তবয়স্ক, এটা প্রমাণিত হয়েছে।’

রায় ঘোষণার পর ঐশীর আইনজীবী মাহবুবুর রহমান রানা বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ প্রতিটি বিষয় প্রমাণ করতে পারেনি। যদি বয়সের কথাই ধরি তবে দেখা যায়, তার মা-বাবার বিয়ে হয়েছে ১৯৯৪ সালে, আর ঐশীর জন্ম ১৯৯৬ সালে। রাষ্ট্রপক্ষ বারবার বলছে, তার জন্ম ১৯৯৪ সালে।’

ঐশী ছাড়া এই হত্যা মামলার অপর দুই আসামির মধ্যে মিজানুর রহমান রনিকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আর অন্যজন আসাদুজ্জামান জনির বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন। 

২০১৪ সালের ৯ মার্চ ঐশীকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক আবুল খায়ের।

পরে গত বছরের ৩০ নভেম্বর ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ বি এম সাজেদুর রহমান তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগের বাসা থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।