গাজীপুরে বিএনপি-জামায়াতের ৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা জামায়াতের আমির ও কালীগঞ্জ উপজেলা যুবদল নেতাসহ বিএনপি জামায়াতের আট নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাত থেকে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে মো. ফরহাদ মোল্লা কাপাসিয়া উপজেলা জামায়াতের আমির। উপজেলার রাউতকোনা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে আজ শনিবার সকালে তাঁকে আটক করে পুলিশ। এ ছাড়া জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ মিয়াসহ স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের সাত নেতা-কর্মীকে শুক্রবার রাতে আটক করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, কাপাসিয়া উপজেলা জামায়াতের আমির ফরহাদ মোল্লাকে শনিবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তাঁকে আটক করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন গাজীপুর মহানগর জামায়াতের আমির প্রিন্সিপাল সানাউল্লাহ, জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির আবু তাসনীম, সেক্রেটারি মাওলানা শেফাউল হক ও কাপাসিয়া উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি তোফাজ্জল হোসাইন। এক যৌথ বিবৃতিতে জামায়াত নেতারা বলেন, বিরোধী জোটের নেতা-কর্মীদের পাইকারি গ্রেপ্তারের মাধ্যমে দেশে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। পুলিশ বাহিনী যেন আজ বর্গী বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। আইনের শাসন আজ নির্বাসনে। বিবৃতিতে তাঁরা অবিলম্বে কাপাসিয়া উপজেলা জামায়াতের আমিরসহ সব রাজবন্দির মুক্তি দাবি করেন।
এদিকে নাশকতার অভিযোগে আটক যুবদল নেতা হানিফ মিয়াসহ সাত নেতা-কর্মীকে আজ শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। আটক বিএনপির অন্য নেতা-কর্মীরা হচ্ছেন কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তাপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো. আওলাদ হোসেন, নাগরী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ইসলাম ভূঁইয়া, মোক্তারপুর ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী ফারুক ফকির, কালীগঞ্জ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবু সাঈদ, জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মো. শাহজাহান মোল্লা ও একই ইউনিয়নের বিএনপি কর্মী মো. মোকছেদ মিয়া।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুস্তাফিজুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নাশকতার সন্দেহে তাঁদের আটক করা হয়েছে। আজ দুপুরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।