চাঁদাবাজি মামলায় ঝালকাঠির মেয়র কারাগারে
চাঁদাবাজি মামলায় ঝালকাঠি পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আফজাল হোসেনসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুর ১২টায় ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. শাহীদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
একই মামলায় মেয়রের ভাইসহ অপর তিন আসামির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আখতার শিকদার জানান, তাঁরা জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে পৌরসভার মেয়রসহ তিনজনকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে অন্য তিনজনের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঝালকাঠি শহরের পশ্চিম চাঁদকাঠিতে গত বছরের ৩১ অক্টোবর একটি ভবন নির্মাণকালে মেয়র আফজাল হোসেন, তাঁর ভাই আউয়াল হোসেন ও ভাইয়ের ছেলে মো. মুন্নাসহ ছয়জন পালবাড়ী এলাকার ব্যবসায়ী কবির হোসেনের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ দিন ওই ব্যবসায়ী ৭৫ হাজার টাকা চাঁদা তুলে দেন মেয়রের হাতে। পরে ওই বছরের ২৪ নভেম্বর বাকি টাকার জন্য চাপ দেন মেয়র ও তাঁর সহযোগীরা। চাঁদার সব টাকা পরিশোধ না করলে হত্যার হুমকিও দেন তাঁরা।
এ ঘটনায় মেয়রসহ ছয়জনকে আসামি করে গত বছরের ২৬ নভেম্বর ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে একটি নালিশি মামলা করেন ব্যবসায়ী কবির হোসেন। আদালতের বিচারক মো. আরিফুজ্জামান ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। ঘটনার তদন্ত শেষে গত ২৯ জানুয়ারি ঝালকাঠি থানার উপপরিদর্শক আবুল বাশার ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আদালত চাঁদাবাজির অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করে আজ সোমবার আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। আদালতে হাজির হলে মেয়র আফজাল হোসেন, তাঁর ভাইয়ের ছেলে মো. মুন্না ও মামাতো ভাই মো. সোলায়মান হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
মেয়রের ভাই আউয়াল হোসেন, মেয়রের সমর্থক মো. শাহীন ও দিপকের জামিন মঞ্জুর করা হয়।