লক্ষ্মীপুরে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এ বিষয়ে একটি তদন্ত হয়েছে।
একাধিক অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল মান্নান যোগদানের পর থেকে উপজেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য করে আসছেন।
সদর উপজেলার পাঁচপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক, দীঘলি উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ, রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়, তিতারকান্দি ভূঁইয়ার হাট ফাজিল মাদ্রাসা, মুনছুর আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটির সঙ্গে যোগসাজশে শিক্ষক নিয়োগে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এদিকে গত ১৫ অক্টেবর সদর উপজেলার পাঁচপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মহিন উদ্দিনকে নির্বাচিত করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তার যোগসাজশে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে তাঁকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
এদিকে একাধিক সূত্র জানিয়েছে, অনলাইনে শিক্ষক নিয়োগ আবেদনের ক্ষেত্রে ডিও সেটআপের নামে এক থেকে পাঁচ হাজার টাকা, অনলাইন আবেদন ফি এক হাজার ৫০০ টাকা, মাধ্যমিক কর্মকর্তার যাচাই ফি ১০ থেকে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন তিনি।
এ ছাড়া শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে চুক্তি করে পূর্বে প্রশ্ন ফাঁস করে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
পাঁচপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ঘটনায় অনিয়মের অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষক পদে প্রার্থী মো. মমিন উল্যা, আবুল খায়ের, খোকন চন্দ্র সুর, মো. হারুনুর রশিদ ও খোরশেদ আলম লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী সোমবার বিকেলে নিজ কার্যালয়ে অভিযোগের শুনানি শেষে আগের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করার জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘নিয়োগের বিষয়ে আমার কিছু করার নেই।’ অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।