অবশেষে শেরেবাংলার জন্মভিটা সংরক্ষণের উদ্যোগ

Looks like you've blocked notifications!
অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরেবাংলা আবুল কাসেম ফজলুল হক ঝালকাঠির রাজাপুরের সাতুরিয়া গ্রামের এই মিয়াবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সেটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে। ছবি : এনটিভি

প্রায় দেড়শ বছর পর অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরেবাংলা আবুল কাসেম ফজলুল হকের জন্মভিটা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে শেরেবাংলার জন্মভিটা (নানাবাড়ি) নিয়ে গত ২৬ অক্টোবর এনটিভিতে একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এ উদ্যোগ নিয়েছে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। আজ থেকে ১৪২ বছর আগে এখানেই জন্মেছিলেন শেরেবাংলা।

খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর শেরেবাংলার মাতুলালয় সংরক্ষণের উদ্যোগ-সংক্রান্ত একটি চিঠি ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ও রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দপ্তরে পাঠিয়েছে। চিঠি পাঠানোর পর প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ওই স্থান পরিদর্শনও করেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার সকালে এনটিভিকে জানিয়েছেন ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক রবীন্দ্র শ্রী বড়–য়া।

জেলা প্রশাসক জানান, খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক আমিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেরেবাংলার জন্মস্থান সম্পর্কে সচিত্র প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সব কাগজ তৈরি করে দ্রুত পাঠানো হবে। এর পরেই আনুষ্ঠানিকভাবে এই দর্শনীয় স্থান সংরক্ষণের কাজ শুরু হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

দীর্ঘদিন ধরে রাজাপুরের সাতুরিয়া গ্রামে শেরেবাংলার জন্মস্থান সংরক্ষণসহ তাঁর মাতুলালয়ে একটি স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণের দাবি করে আসছেন স্থানীয়রা।

অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ‘বাংলার বাঘ’ খ্যাত শেরেবাংলা আবুল কাসেম ফজলুল হক ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর ঝালকাঠির রাজাপুরের সাতুরিয়া মিয়াবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।