বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে জামায়াত নেতা আটক
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি হারুন-অর রশিদ ও তাঁর ছোট ভাই আরিফুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার দুপুরে কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের বাড়িতে ছোট ভাই শরিফ হোসেনের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে তাঁদের আটক করা হয়। আটকের পর দুজনকে হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরসহ একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারের ঘটনায় গাজীপুর জামায়াতে ইসলামীর নেতারা তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাঁদের মুক্তি দাবি করেছেন।
পুলিশ জানায়, মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকরকে সামনে রেখে দেশব্যাপী নাশকতার আশঙ্কায় কালিয়াকৈর উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি ভাইস-চেয়ারম্যান হারুন-অর রশিদ ও তাঁর ছোট ভাইকে আটক করা হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোতালেব মিয়া জানান, গত বছর সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় হারুন-অর রশিদের নির্দেশে ও উপস্থিতিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনায় হারুনুর রশিদসহ জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় একাধিক মামলা হয়।
এদিকে ছোট ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে একজন জনপ্রতিনিধিকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন গাজীপুর মহানগর জামায়াতের আমির শেখ সানাউল্লাহ ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মুহাম্মদ হোসেন আলী, জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির আবু তাসনীম ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি সেফাউল হক, মহানগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আজহারুল ইসলাম মোল্লা এবং মহানগর ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি আহমেদ ইমতিয়াজ।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, সারা দেশে বিরোধী দল সমর্থিত জনপ্রতিনিধিদের একের পর এক আটক ও হয়রানি করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে জনপ্রিয় জামায়াত নেতা হারুন অর রশীদকে গ্রেপ্তার করে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে অবিলম্বে তাঁর মুক্তি দাবি করা হয়।