মেডিকেল প্রতিবেদন সাপেক্ষে ফখরুলের জামিনের আদেশ
মেডিকেল প্রতিবেদন না আসায় নাশকতার তিন মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামিনের ওপর আজ রোববার রায় দেননি হাইকোর্ট। মেডিকেল প্রতিবেদন পাওয়া সাপেক্ষে পরবর্তী সময়ে রায় দেওয়া হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব মেডিকেল প্রতিবেদন রাষ্ট্রপক্ষকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার বিচারপতি মোহাম্মদ রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
ফখরুলের প্যানেল আইনজীবী ব্যারিস্টার আহসানুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষকে দ্রুত মেডিকেল রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়ার পরই আদালত তাঁর জামিন প্রশ্নে রায় দেবেন।’
গত ১৬ নভেম্বর রায়ের জন্য দিন ধার্য থাকলেও বিচারপতিরা মির্জা ফখরুলের চিকিৎসার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দেখতে চান। রাষ্ট্রপক্ষ তা সরবরাহের জন্য সময় চাইলে রায়ের জন্য আজ দিন ধার্য করা হয়।
গত ২ নভেম্বর মির্জা ফখরুলকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পরদিন মির্জা ফখরুল বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গেলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এখন তিনি কারাগারে রয়েছেন।
এর আগে ২১ জুন ওই তিন মামলায় ফখরুলকে জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের জামিন আপিল বিভাগ বহাল রাখেন। ফলে সে সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তি পান এ বিএনপি নেতা। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে চলে যান তিনি। দেশে ফিরে আবেদন জানিয়ে আত্মসমর্পণের মেয়াদ দুই দফা বাড়ান মির্জা ফখরুল।
নাশকতার কাজে উসকানি, প্ররোচনা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী পল্টন ও মতিঝিল এলাকায় হরতালের মধ্যে গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে গত ৪ ও ৬ জানুয়ারি এসব মামলা করে ওই দুই থানার পুলিশ।