পঞ্চগড় থেকে আজ ভারত যাচ্ছেন ১০৫ জন
পঞ্চগড়ের বিলুপ্ত ছিটমহল থেকে চতুর্থ দফায় আজ বৃহস্পতিবার ভারতে যাচ্ছেন ২১ পরিবারের ১০৫ সদস্য। জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার দহলা খাগড়াবাড়ী ও বোদা উপজেলার দইখাতা থেকে তাঁরা ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দাদের ভারত যাওয়ার দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হয় সকাল থেকেই। দেবীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে ভারত যাওয়া-সংক্রান্ত প্রাথমিক কার্যক্রম শেষ হয়। সাড়ে ৮টার দিকে ভারতীয় হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি রমাকান্ত গুপ্তের হাতে এ-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজ তুলে দেন পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম আযম।
শফিকুল আরো জানান, দেবীগঞ্জ কলেজে আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনটি বাস ও পাঁচটি ট্রাকে ভারতীয় নাগরিক ও তাঁদের সঙ্গে থাকা মালামাল নিয়ে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি ডাঙ্গাপাড়া সীমান্তের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
ইউএনও আরো জানান, চিলাহাটির ডাঙ্গাপাড়া সীমান্তে আবদুর রউফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিবাসন-সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুরের আগেই ওই ১০৫ জন হলদিবাড়ী সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাবেন।
চলতি বছরের ৬ থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত জনগণনায় পঞ্চগড় জেলার ৩৬ ছিটমহলের ৪৮৭ জন ভারতে যাওয়ার জন্য আবেদন করেন। জনগণনার পর দেবীগঞ্জ উপজেলার কোটভাজনী এলাকার লাল চাঁন রায়ের এক ছেলের জন্ম হয়। একই উপজেলার দহলা খাগড়াবাড়ী ছিটমহলের মদন চন্দ্র রায়ের মেয়ের জন্ম হয়। ফলে লাল চাঁনের ছেলে ভারত চন্দ্র ও মদন চন্দ্রের মেয়ে একাদশী রানীকে নিয়ে ভারত গমনেচ্ছুর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৯১ জনে।
প্রথম দফায় পঞ্চগড় সদর উপজেলার গাড়াতি, বোদা উপজেলার নাটকটোকা, বেহুলাডাঙ্গা, কাজলদীঘি ও নাজিরগঞ্জ ছিটমহলের ১৪টি পরিবারের ৪৮ জন ভারতে যান। দ্বিতীয় দফায় দেবীগঞ্জ উপজেলার বিলুপ্ত কোটভাজনী ও বালাপাড়া ছিটমহলের ২৮টি পরিবারের ১৪৭ জন, তৃতীয় দফায় বিলুপ্ত দহলা খাগড়াবাড়ী ছিটমহলের ৩০টি পরিবারের দুই নবজাতকসহ ১৫২ জন নাগরিক ভারতে যান। অবশিষ্ট ৩৯ জনের মধ্যে ৩৪ জন যাবেন ৩০ নভেম্বর। আর পাঁচজন বাংলাদেশে থাকার সিদ্ধান্ত নেন।