পৌর নির্বাচন বিএনপির টেস্ট কেস : হান্নান শাহ
বিএনপি পৌরসভা নির্বাচনকে একটি ‘টেস্ট কেস’ হিসেবে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার (অব.) আ স ম হান্নান শাহ। এর মধ্য দিয়ে বিএনপি সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে একটি ‘সুযোগ’ দিতে চায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
urgentPhoto
২০০৭ সালে কাপাসিয়া থানায় দায়ের করা একটি মারামারির মামলায় আজ সোমবার গাজীপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজিরা দেন বিএনপির এ নেতা। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
এ সময় হান্নান শাহ বলেন, ‘আমরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি একটা টেস্ট কেস হিসেবে। আমরা সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে একটি সুযোগ দিচ্ছি। তারা যেন দেশবাসীর প্রত্যাশা ও সংবিধান অনুযায়ী একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে।’
‘যদি তারা এটি করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে অতীতে তারা যেমন নিন্দনীয় ও বিতর্কিত হয়েছিল, আগামী দিনে তারা আরো বেশি বিতর্কিত হবে। এবং এসব করলে সরকারের মরণঘণ্টা যে বাজবে, তাতে আমার মনে কোনো সন্দেহ নাই।’
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘অতীতের রেকর্ড বলে নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের মানুষের সামনে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও কোনো নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে পারে নাই। ওই সব নির্বাচনে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করা হয়েছিল। এমনকি নির্বাচন কমিশনের লোকেরাও জাল ভোট দিয়েছে, বাক্স ভর্তি করেছে।’
এ সময় হান্নান শাহর সঙ্গে অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান, মঞ্জুর মোর্শেদ প্রিন্সসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দেশের ২৩৪টি পৌরসভায় আগামী ৩০ ডিসেম্বর মেয়র ও কাউন্সিলর পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারই প্রথম রাজনৈতিক দলের প্রত্যক্ষ সমর্থন ও প্রতীক ব্যবহার করে পৌরসভার মেয়র পদে লড়বেন প্রার্থীরা। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে ৫ ও ৬ ডিসেম্বর এবং প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৩ ডিসেম্বর।
গত ২৪ নভেম্বর পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি।
বিএনপি পৌর নির্বাচন ১৫ দিন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল। একই দাবি ছিল সরকারের শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টি এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টিরও।
তবে পৌরসভায় নির্বাচন আগামী ৩০ ডিসেম্বরই অনুষ্ঠিত হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।