আইনজীবী নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ প্রত্যাহার, আদালত বর্জন
পুলিশ সদস্যের স্ত্রীকে মামলায় আইনি সহায়তা দেওয়ায় কুড়িগ্রামে এক আইনজীবীকে নির্যাতন ও আটকের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সদর থানার দুই উপপরিদর্শকসহ (এসআই) ৯ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি নির্যাতনের প্রতিবাদে আজ বুধবার আদালত বর্জন করেন আইনজীবীরা। এতে আদালতের বিচার কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা বিচারপ্রার্থীরা।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে জানান, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদস্য এমদাদুল হকের (যার গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামে) স্ত্রী সম্প্রতি অন্য এক যুবককে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় ওই পুলিশ সদস্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করেন।
‘মামলাটিতে পুলিশ সদস্যের স্ত্রীকে আইনি সহায়তা দেন অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম। এ ঘটনার জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তৌহিদুলকে কোর্ট চত্বরে নির্যাতনের পর আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তাঁকে বিকেলে ছেড়ে দেয়।’ বলছিলেন ফখরুল ইসলাম।
ফখরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনার প্রতিবাদে মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালত ও জেলা জজ আদালত বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে জেলা আইনজীবী সমিতি।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এহতেশাম এনটিভি অনলাইনকে জানান, এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সদর থানার দুই এসআইসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
আইনজীবীকে নির্যাতন ও আটকের ব্যাপারে ওসি জানান, পুলিশ সদস্যের স্ত্রী তাঁর মা-বাবা, নতুন স্বামী নাকি সাবেক স্বামী পুলিশ সদস্যের জিম্মায় থাকবেন তা নিয়ে আদালত চত্বরে উভয়পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। সেখানে উত্তেজনা দেখা দিলে আইনজীবীকে থানায় নিয়ে আসা হয় এবং পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।