সন্তু লারমা দেশপ্রেমিক : গওহর রিজভী

Looks like you've blocked notifications!
পার্বত্য শান্তি চুক্তির ১৮তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজ বুধবার দুপুরে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী। ছবি : এনটিভি

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমাকে দেশপ্রেমিক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেছেন, ‘তিনি একজন গণতান্ত্রিক মানুষ। তিনি আমাদের সঙ্গে আছেন। আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। চুক্তি এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁকে আমাদের প্রয়োজন।’

‘আমি জানি শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে আপনাদের মনে অনেক ক্ষোভ, ব্যথা রয়েছে। আশা করছি, অতি দ্রুতই তা নিরসন করা হবে।’

চুক্তি বাস্তবায়ন বেশির ভাগই হয়েছে উল্লেখ করে গওহর রিজভী আরো বলেন, ‘চুক্তি অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছি। সামান্য যা কিছু আছে, তাও দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।

পার্বত্য শান্তি চুক্তির ১৮তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজ বুধবার দুপুরে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গওহর রিজভী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে আন্তরিক মন্তব্য করে গওহর রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, চুক্তি আমরা করেছি, আমরাই বাস্তবায়ন করব। চুক্তি বাস্তবায়ন বিষয়ে তিনি বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।

এ সময় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা  বলেন, একসঙ্গে কাজ করলে দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মুছা মাতব্বর, জেলা যুবলীগের সভাপতি আকবর হোসেন চৌধুরী, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমাসহ জেলা ও উপজেলার নেতারা।

সভাপতির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার বলেন, ‘চুক্তি বাস্তবায়নে বড় বাধা অবৈধ অস্ত্র। পাহাড়ের মানুষ অবৈধ অস্ত্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। চুক্তির মধ্যে পার্বত্যাঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের বিষয়টিও উল্লেখ আছে। পাহাড়ের সার্বিক উন্নয়নের সঙ্গে চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়টিও অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তাই পাহাড়ে চাঁদাবাজি বন্ধ ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হলে তবেই পাহাড়ের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব।’

চুক্তি বাস্তবায়নের দাবির নামে যারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করে দীপংকর তালুকদার বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নে অসহিষ্ণু, অধৈর্য হলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আছে। চুক্তি বাস্তবায়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রক্রিয়া অনুসরণ করে চুক্তি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র থাকলে শান্তির সুবাতাস মানুষ পাবে না। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে পারলেই তবেই মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে। তিনি বলেন, হয় অস্ত্র উদ্ধার করুন, না হলে আমাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিন।