নারী নির্যাতন রোধে পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ কমিটি করতে হবে : চুমকি
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সারা দেশে পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
‘নারীর প্রতি সহিংসতা অমার্জনীয়। তা অবশ্যই প্রতিরোধ করতে হবে। এ জন্য সুশীল সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। সুশীল সমাজের অংশগ্রহণে পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায় নির্যাতনবিরোধী কমিটি করতে হবে।’ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় চুমকি এ কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাল্টিসেক্টরাল প্রজেক্ট ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি এতে সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ‘আমরাই পারি’ পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোটের জাতীয় সমন্বয়ক জিনাত আরা হক, ইউএনএফপি বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ আর্জেন্টিনা মেটাবেল পিকসিন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সেনেট গেব্রেজজিয়াবার, আমেরিকান এমবাসির কনসাল জেনারেল এলিজাবেথ পি গারলে এবং নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেন।
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ১৮ই থাকবে। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ করার সুযোগ নেই। নারী প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলেও তিনি জানান।
নাছিমা বেগম এনডিসি বলেন, নারীদের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা না করে অন্যের জন্য সুযোগ সৃষ্টির প্রত্যয়ে কাজ করতে হবে। চ্যালেঞ্জ নিতে আগ্রহী হতে হবে।
সেনেট গেব্রেজজিয়াবার বলেন, বাল্যবিবাহ পারিবারিক সহিংসতার অন্যতম কারণ। তিনি বাল্যবিবাহ বন্ধে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আরো গভীরভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আর্জেন্টিনা মেটাবেল পিকসিন বলেন, ‘বিশ্বের সব জায়গায় নারীরা নির্যাতিত। শিক্ষিত ও অশিক্ষিত সব ক্ষেত্রেই নারী নির্যাতন হয়। আমরা সঠিকভাবে শিক্ষিত হচ্ছি কি না, তাও ভেবে দেখতে হবে।’ তিনি মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাজেট বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।