নির্বাচন স্থগিত, তবুও গণসংযোগে ব্যস্ততা প্রার্থীদের

Looks like you've blocked notifications!

ময়মনসিংহের গফরগাঁও পৌরসভা নির্বাচনের কার্যক্রম তিন মাস স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানিতে মঙ্গলবার এ বিষয়ে এক আদেশ দেন উচ্চ আদালত। অথচ এ আদেশের পরও থেমে নেই নির্বাচনের প্রচারকাজ। অনেক প্রার্থী জানেনই না, স্থগিত হয়েছে নির্বাচন।  মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন ওই এলাকার প্রার্থীরা।

গফরগাঁও পৌরসভা থেকে নির্বাচনে দুজন মেয়র ছাড়াও ৪৬ সাধারণ কাউন্সিলর ও ১১ মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো লিখিত নির্দেশনা না পাওয়ায় প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার অব্যাহত থাকবে।

মঙ্গলবার রাত ৯টায় গফরগাঁও পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এস এম ইকবাল হোসেন সুমন বলেন, ‘কী ঘটেছে, ঘটনাটি ঠিক জানি না। নির্বাচনী গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছি। সীমানা নির্ধারণ নিয়ে সমস্যা থাকলেও সেটি সরকার দেখবে, আমাদের কী করার আছে।’

একই রকম কথা বলেছেন বিএনপির প্রার্থী শাহ আবদুল্লাহ আল মামুন। এনটিভির সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, ‘টেলিভিশনে খবরটা দেখেছি, প্রার্থী হিসেবে আমাকে কেউ এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। গফরগাঁও পৌরসভা নাকি প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু এ জন্য বর্তমান সীমানা এবং ভোটার নাকি যথেষ্ট নয়। তাই বর্তমান মেয়র কায়সার আহমেদ নাকি সীমানা নিয়ে একটি মামলা করেছেন। এখন কী করব, বুঝতে পারছি না।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে কথা বললে গফরগাঁও নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার সিদ্ধার্থ শংকর সাহা বলেন, ‘খবরটা টেলিভিশনে দেখেছি এবং শুনেছি। তবে আমাদের কাছে কমিশন থেকে কোনো ফোন, চিঠি, ফ্যাক্স এবং ই-মেইল বার্তা আসেনি। খবরটা কতটা সঠিক, আমাদের জানা নেই। জেলার ঊর্ধ্বতন লেভেল থেকেও এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাইনি।'

এর আগে মঙ্গলবার সকালে গফরগাঁও ইউনিয়নের ভোটার মোহাম্মদ আলীর রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গফরগাঁও পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত করেন আদালত। বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ  রুলসহ এ আদেশ দেন।

মামলায় আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায়।