পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাপ, লাশ উদ্ধার
ঝালকাঠির সিটিপার্ক এলাকার সুগন্ধা নদী থেকে আজ সোমবার সকালে নিখোঁজ যুবক মো. সুমনের (২৫) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পর্নগ্রাফি মামলার আসামি সুমন গতকাল রোববার বিকেল ৫টার দিকে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে সুগন্ধা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন।
আজ সোমবার সকাল ৯টায় বরিশাল নৌফায়ার স্টেশনের কর্মীরা ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে স্থানীয় সিটিপার্ক এলাকার সুগন্ধা নদী থেকে সুমনের লাশ উদ্ধার করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার বিকেল ৫টার দিকে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শহরের সিটিপার্ক এলাকা থেকে সুগন্ধা নদীতে ঝাঁপ দেন সুমন। ঝালকাঠি থানা পুলিশ ও স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরির দল ট্রলার নিয়ে রাতভর চেষ্টা চালিয়েও তাঁর সন্ধান পায়নি। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ সুমনের পরিবার ও এলাকাবাসী রাত ১১টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী থানা ঘেরাও দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় সুমনের বাবা সেকেন্দার আলী তাঁর ছেলে হত্যার দায়ে পুলিশের বিচার দাবি করেন।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রকিব বলেন, নিখোঁজ সুমন পর্নগ্রাফি আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলার আসামি। শহরের রোনালস রোডের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কাঞ্চন আলী খান বাদী হয়ে লিমন নকিব ও মো. সুমনসহ অজ্ঞাত আরো পাঁচজনের বিরুদ্ধে রোববার সকালে ঝালকাঠি থানায় একটি মামলা করেন। পরে লিমন নকিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর সুমনকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সুমন শহরের মসজিদ বাড়ি সড়ক থেকে দৌড়ে সিটিপার্কের পাশ থেকে সুগন্ধা নদীতে ঝাঁপ দেন।