হাতুড়িপেটা করে, ঘরে আগুন দিয়ে ৩ শিশুকে হত্যা

Looks like you've blocked notifications!
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কবিরপুর গ্রামের মসজিদপাড়ায় আজ রোববার সন্ধ্যায় তিন শিশুকে নৃংশসভাবে হত্যার ঘটনায় স্বজনদের আহাজারি। ছবি : এনটিভি

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় অর্থ লেনদেনের জেরে তিন শিশুকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে, ঘরে তালাবদ্ধ করে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শিশুদের এক আত্মীয়কে আটক করা হয়েছে। 

আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শৈলকুপা থানার পেছনে কবিরপুর গ্রামের মসজিদপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোপীনাথ কাঞ্জিলাল।

নিহতরা হলো শৈলকুপা পাইলট হাইস্কুলের কারিগরি বিভাগের শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মোস্তফা সাফিন (১০), মোস্তফা আমীন (৮) ও ভাগ্নে মাহিম (১৩)।

পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দেলোয়ার হোসেনের বড় ভাই ইকবাল হোসেনকে আটক করেছে। ইকবাল ওই গ্রামের গোলাম নবীর ছেলে। তিনি প্রায় আট বছর সিঙ্গাপুরে ছিলেন। চার মাস আগে বাড়ি আসেন। অর্থ লেনদেনের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন দেলোয়ার হোসেন ও তাঁর বোন শিক্ষিকা জেসমিন আক্তার।

দেলোয়ার হোসেন জানান, বড় ভাই ইকবাল হোসেন সন্ধ্যায় তাঁর দুই শিশু ও ভাগ্নেকে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। তারপর হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তিনজনকে আহত করেন। এরপর গ্যাস সিলিন্ডার খুলে ঘরে তালা লাগিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। তিনি তখন বাজারে ছিলেন। বাবা গোলাম নবী ফোন করে বিষয়টি তাঁকে জানান।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং আহতদের উদ্ধার করেন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘরের ভেতরেই মারা যায় মোস্তফা সাফিন ও মোস্তফা আমীন। ভাগ্নে মাহিমকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত ৮টার দিকে মারা যায়।

নিহতদের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে এএসপি গোপীনাথ কাঞ্জিলাল বলেন, ‘পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে শরীরে রক্তমাখা অবস্থায় ইকবালকে আটক করা হয়েছে। তিনি প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছেন।’

রাতে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতাল ও শৈলকুপা থানায় হাজার হাজার মানুষ ভিড় করে। তারা এ ঘটনার বিচার দাবি করে স্লোগান দেয়।