জাসদ নেতা কাজী আরেফের ৩ খুনির ফাঁসি কাল রাতে
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) কেন্দ্রীয় নেতা কাজী আরেফ আহমেদ হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া তিন আসামির রায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাতে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে কার্যকর হবে।
যাঁদের ফাঁসি কার্যকর হবে তাঁরা হলেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার রাজনগর গ্রামের সাফায়েত হোসেন হাবিব, কুর্শা গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও রাশেদুল ইসলাম ঝন্টু।
যশোরের পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে তিনি, জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন কারা কর্তৃপক্ষের চিঠি পেয়েছেন। ফাঁসির রায় কার্যকরকে কেন্দ্র করে যেন কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিনজনের ফাঁসি কার্যকরের সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।
১৯৯৯ সালে ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ায় জাসদের একটি সমাবেশে দুর্বৃত্তরা ব্রাশফায়ার করলে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাজী আরেফসহ পাঁচজন নিহত হন। ঘটনার পরদিন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইসহাক আলী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলার বিচার শেষে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ ২০০৪ সালের ৩০ আগস্ট ১০ আসামিকে ফাঁসি ও ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। পরে একজনকে খালাস দিয়ে অপর নয়জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনের সবাইকে হাইকোর্ট খালাস দেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া নয়জনের মধ্যে ইলিয়াস হোসেন নামের একজনের মৃত্যু হয়। পাঁচজন পলাতক রয়েছেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বাকি তিনজনের আপিল আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এ ছাড়া যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া ১১ জনের সবাইকে হাইকোর্ট খালাস দিয়ে যে রায় দেন, সে রায়ও বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।