পদ্মা সেতু, রেললাইন হলে খুলনাঞ্চলের অর্থনীতি আরো গতিশীল হবে
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেছেন, পদ্মা সেতু, রেললাইন এবং খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মিত হলে এ অঞ্চলের অর্থনীতির চাকা আরো গতিশীল হবে। দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হবে।
উপদেষ্টা আজ শনিবার দুপুরে খুলনার তেরখাদা উপজেলার ছাগলাদহ ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এসব কথা বলেন। তিনি সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আওতায় বাস্তবায়নাধীন খুলনা জেলার ভুতিয়ার বিল এবং বর্ণাল সালিমপুর কোলাবাসুখালী বন্যানিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আঠারোবেকি নদী পুনরায় খনন ও ভেন্ট ড্রেনেজ কাম ফ্লাসিং সুইজ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।
মসিউর রহমান বলেন, বর্তমান সরকার নদীর নাব্যতা রক্ষায় দেশব্যাপী নদীখনন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এটা আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম কর্মসূচি। সরকার এ অঞ্চলের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করছে। এ প্রকল্পটি আমাদের সবার এবং এর বাস্তবায়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে এ অঞ্চলের কৃষি উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে, জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নতি হবে এবং অর্থনৈতিক সচ্ছলতা আরো বৃদ্ধি পাবে। সরকারি খাল ও নদীগুলো দখলমুক্ত করতে হবে। যাঁরা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন, তাঁদের এগুলো ছেড়ে দিতে হবে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এলাকার সব সমস্যার সমাধানে বর্তমান সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার কৃষক, শ্রমিক, সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি, শিক্ষা, খাদ্য, স্বাস্থ্য, যোগাযোগসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছেন।’
উপদেষ্টা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আকঁড়ে ধরে সবাইকে ঐকবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা, সাবেক সংসদ সদস্য মোল্লা জালাল উদ্দিন, বাংলাদেশ ডিজেল প্লান্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসিফ আনসারী, খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মোস্তফা কামাল, প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী জুলফিকার আলী হাওলাদার, এ আর কে গ্রুপের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান ও তেরখাদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু। এতে সভাপতিত্ব করেন পাউবোর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী কে এম আনোয়ার হোসেন।
সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আঠারোবেকি নদীর প্রায় ৫০ কিলোমিটার পুনরায় খনন করা হবে এবং এতে ব্যয় হবে প্রায় ১২৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগামী ২০১৭ সালের জুন মাসে কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।