মাদারীপুরে সেই দুই স্কুলছাত্রীর লাশ উত্তোলন
মাদারীপুরের মস্তফাপুরে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য দুই স্কুলছাত্রীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বদিরুদোজ্জা শুভর উপস্থিতিতে তাঁদের লাশ উত্তোলন করা হয়।
লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বদিরুদোজ্জা শুভ জানান, স্কুলছাত্রী সুমাইয়া আক্তার ও হ্যাপী আক্তারকে অপহরণের পর ধর্ষণ শেষে হত্যার ঘটনায় মাদারীপুর সদর হাসপাতালের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন নিহতদের পরিবারের সন্তোষজনক না হওয়ায় হাইকোর্ট রুল জারি করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসাইনের দ্বৈত বেঞ্চ লাশ উত্তোলন করে পুনরায় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য গত ১৩ আগস্ট দুপুরে সদর উপজেলার মস্তফাপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার (১৪) ও তার সহপাঠী হ্যাপি আক্তার (১৪) নিখোঁজ হয়। বিকেলে অচেতন অবস্থায় চার যুবক ওই দুই ছাত্রীকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়। ওই দুই মেয়ের পরিবার লোকমুখে খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে তাঁদের লাশ শনাক্ত করে।
পুলিশ সেদিনই হাসপাতাল এলাকা থেকে শিপন শিকদার ও রফিক শিকদার নামের দুই যুবককে আটক করে। পরে দায়ের করা মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর রাকিব শিকদার, রফিকুল খাঁ ও রানা শিকদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনার পরের দিন ১৪ আগস্ট নিহত সুমাইয়ার বাবা বিল্লাল শিকদার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ১৩ সেপ্টেম্বর হ্যাপীর মা মুক্তা বেগম মাদারীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যাল আদালতে রানা শিকদারকে প্রধান আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষণ শেষে বিষ খাইয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রানা ছাড়া রকিব, শিপন ও রফিকুল সাম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে এসেছেন। বাকি আসামিরা এখনো পলাতক রয়েছেন।বর্তমানে মামলা দুটি সিআইডির হাতে তদন্তাধীন থাকলেও দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ মাসেও চার্জশিট দাখিল করা সম্ভব হয়নি।