নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিলাসবাড়ী ইউনিয়নের তাজপুর এলাকায় একটি নতুন কয়লাখনির সন্ধান পেয়েছেন প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এরই মধ্যে একটি নিরীক্ষা কূপ খননের প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সান্তাহার, তিলকপুর, বদলগাছী ও আক্কেলপুর এলাকায় জিএসবির এক ভূতাত্ত্বিক জরিপে তাজপুরে মূল্যবান খনিজ সম্পদের সন্ধান পাওয়া যায়। সেই সম্পদের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করার জন্য একটি প্রস্তাব পাঠানো হয় খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে। এ বছর জানুয়ারিতে মন্ত্রণালয় প্রস্তাবটি অনুমোদন করে।

জিএসবির মহাপরিচালক ড. নেহাল উদ্দিন জানান, বদলগাছী উপজেলার বিলাসবাড়ী ইউনিয়নের তাজপুরে মাটির নিচের স্তরতাত্ত্বিক তথ্য সংগ্রহ ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদের অনুসন্ধানে ৩০ সদস্যের একটি অনুসন্ধানী টিম পাঠানো হয়েছে। সেখানে একটি কূপ খনন করে প্রায় তিন মাস খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান চালানো হবে। অনুসন্ধানে তাজপুরে কয়লা অথবা মূল্যবান কোনো খনিজ সম্পদ পাওয়া যেতে পারে। পরে সেগুলো কাজে লাগানোর জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ সরকারকে জানাবে।

তাজপুর স্তরতাত্ত্বিক তথ্য সংগ্রহ ও অনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান দলের প্রধান জিএসবির উপপরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশল) মাহিরুল ইসলাম জানান, তাজপুরে প্রাথমিক জরিপে পাললিক শীলার পুরুত্ব অনেক বেশি পাওয়া গেছে। এ ছাড়া সাদা মাটিসহ মূল্যবান সম্পদ পাওয়া যেতে পারে এখানে। এ জন্য রিক মেশিন দিয়ে মাটির নিচে প্রায় চার হাজার ফুট গভীর করে কূপ খননের মাধ্যমে নিরীক্ষা অভিযান চালানো হবে। কূপ খননের নির্ধারিত স্থানটি মাপজোখ করে প্রস্তুত করা হয়েছে। মেশিনপত্র নিয়ে আসার কাজ চলছে। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে খননকাজের উদ্বোধন করার লক্ষ্য রয়েছে জিএসবির।

জিএসবির কর্মকর্তারা জানান, সবশেষ দিনাজপুরের দীঘিপাড়া কয়লাখনি আবিষ্কারের পর নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার তাজপুরে খনিজ সম্পদের সন্ধান পাওয়া যায়। দেশে এ পর্যন্ত বড়পুকুরিয়া, জামালগঞ্জ, খালাসপীর, দীঘিপাড়া, ফুলবাড়ীসহ পাঁচটি কয়লাখনি আবিষ্কার করা হলেও কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে শুধু বড়পুকুরিয়া খনি থেকে।