গ্যাসক্ষেত্রে হামলায় ছাত্রলীগ, মামলায় নেই

Looks like you've blocked notifications!

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানির তিতাস গ্যাসক্ষেত্রে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানান, গতকাল রোববার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম বিল্লাহর নেত্বত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

অথচ আজ সোমবার এ ব্যাপারে করা মামলায় ছাত্রলীগের কারো নাম এজাহারে দেওয়া হয়নি। ‘নিরাপত্তাজনিত কারণে’ ছাত্রলীগ নেতাদের নাম দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানির তিতাস গ্যাসফিল্ডের লোকেশন জে-এর ২৫ ও ২৬ নম্বর কূপ খনন এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে। ৩০-৩৫টি মোটরসাইকেলে করে ৬০-৭০ জন যুবক সেখানে গিয়ে জোর করে সংরক্ষিত কূপ খনন এলাকায় ঢুকে পড়ে।

প্রায় দুই মাস আগে এই কূপ খননকাজ শুরু হয়। একটি চীনা প্রতিষ্ঠান কূপ খননের কাজটি করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রলীগ নেতা মাসুম বিল্লাহর নেতৃত্বে একদল যুবক কর্তব্যরত আনসারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ভেতরে ঢুকে ত্রাস সৃষ্টি করে। তারা প্রকল্প প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন চুন্নুর কাছে জানতে চায়, এখানে কারা তেল, গাড়ি এবং খাবার সরবরাহ করে। এসব সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিরা ঢাকায় থাকে বলে জানালে তারা জাহিদ হোসেন চুন্নুকে মারধর করে এবং কূপ খননকাজ বন্ধ করে দেয়। 

কূপের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, মোটরসাইকেলে করে ভেতরে প্রবেশ করেই ওই ব্যক্তি পরিচয় দেন তাঁর নাম মাসুম বিল্লাহ। মাসুম বলেন, ‘আমি মাসুম বিল্লাহ, আমার অনুমতি ছাড়া কাজ হবে না।’ বলে তিনি কাজ বন্ধ করে দেন।

রফিকুল আরো জানান, এসব দৃশ্য দেখে প্রতিষ্ঠানে কর্তরত বিদেশিরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর র‌্যাব-পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে পুলিশ এলে বিদেশিরা স্বাভাবিক হন।

এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম-সিকিউরিটি) বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুর রহমান জানিয়েছেন, অজ্ঞাতনামা ৬০ থেকে ৭০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে ওই প্রতিষ্ঠান। তবে এখনো কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।  

ছাত্রলীগ নেতা মাসুম বিল্লাহসহ ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মীর নাম মামলায় নেই। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নিরাপত্তাজনিত কারণে সেসব নাম দেওয়া হয়নি।’

এ বিষয়ে জানতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম বিল্লাহকে একাধিকবার চেষ্টা করেও মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।