ইইউর সঙ্গে যৌথ বাণিজ্য পরিষদ করবে বাংলাদেশ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল বা যৌথ বাণিজ্য পরিষদ গঠন করবে বাংলাদেশ। আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুন এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই কাউন্সিল গঠিত হলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক আরো বেশি হারে ইউরোপের দেশগুলোতে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। ইইউভুক্ত ২৮টি দেশের মধ্যে আটটি দেশের দূতাবাস বাংলাদেশে রয়েছে। ইইউর পক্ষে ওই আটটি দেশ বিজনেস কাউন্সিলের সদস্য হবে। আর বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি যেন বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ বেসরকরি উদ্যোক্তাদের সংগঠনগুলোকে এই কাউন্সিলের সদস্য করা যায়, সে বিষয়ে ইইউর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানান তোফায়েল আহমেদ।
আজকের বৈঠকে বাংলাদেশে যে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ করা হচ্ছে, সেগুলোতে ইউরোপের দেশগুলোকে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের বিনিয়োগ নীতি সম্পর্কে তাঁর কাছে জানতে চেয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি তাদের বলেছি যে বাংলাদেশের বিনিয়োগ নীতি শতভাগ বিনিয়োগবান্ধব। এখানে বিনিয়োগের নিশ্চয়তা ও উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। বিনিয়োগকৃত অর্থের মুনাফা শতভাগ বিনিয়োগকারীরা নিতে পারেন বলেও তাদের আশ্বস্ত করেছি।’
কেউ যদি কোনো দেশে ট্যাক্স দিয়ে বাংলাদেশে কোনো পণ্য রপ্তানি করে বা বিনিয়োগ করে, তাহলে বাংলাদেশে তাঁকে আর নতুন করে ট্যাক্স দিতে হয় না—এ তথ্য প্রতিনিধিদলকে জানিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের কাছে উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানা সম্পর্কে ইইউ প্রতিনিধিরা জানতে চাইলে মন্ত্রী তাদের বলেছেন, অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স খুব শক্তভাবে বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলো তদরকি করছে। ৯৮ শতাংশ কারখানায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নিশ্চিত হওয়া গেছে, মাত্র ২ শতাংশ নিয়ে এখন কাজ চলছে, যা পূরণ করতে বাংলাদেশ চেষ্টা করছে বলেও ইইউ প্রতিনিধিদলকে নিশ্চিত করেছেন তোফায়েল আহমেদ।